নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতে নারী পাচারকারী চক্রের মূলহোতা নদী ও জয়াসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ।সোমবার (২১ জুন) বিকেলে নড়াইল ও যশোর জেরার সীমান্ত এলাকা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।ভারত থেকে পালিয়ে আসা ভুক্তভোগী তরুণীর দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হবে।সোমবার সন্ধ্যায় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, হাতিরঝিল থানা পুলিশের একটি টিম নড়াইল ও যশোর সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার (২২ জুন) রিমান্ডের আবেদন করে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।প্রসঙ্গত, টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়, অতঃপর টিকটক স্টার বানানোর কথা বলে মগবাজার এলাকার এক তরুণীকে ভারতে পাচার করে দেওয়া হয়। সেখানে ধারাবাহিক শারীরিক ও বিকৃত যৌন নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী কৌশলে ৭৭ দিন পর দেশে পালিয়ে আসেন। গত ১ জুন রাতে হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা (নং-৩) দায়ের করেন ভুক্তভোগী তরুণী। মামলায় ১২ জনকে আসামি করা হয়।ভারতফেরত ওই তরুণী জানান, সেখানে অবস্থান করার সময় তিনি আরও অনেক বাংলাদেশি তরুণীকে দেখেছেন। যারা বিভিন্নসময়ে এই চক্রের মাধ্যমে পাচার হয়েছেন।এই ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ জুন দিনগত রাতে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী দাবকপাড়া কালিয়ানী এলাকা থেকে মেহেদী হাসান বাবু, মহিউদ্দিন ও আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরে গত ৭ জুন দেশের সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ওই সংঘববদ্ধ আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য আমিরুল ইসলাম (৩২) ও আবদুস সালাম মোল্লাকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে ডিএমপি তেজগাঁও বিভাগ। যারা ভারতে প্রায় এক হাজার নারীকে পাচারে সীমান্ত পার হতে সরাসরি সহায়তা করেছেন।পুলিশ জানায়, গ্রেফতার আসামিদের কাছ থেকে পাচারের ব্যবহৃত ২টি মোটরসাইকেল, একটি ডায়েরি, ৪টি মোবাইল ও ১টি ভারতীয় সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। পাচারের শিকার মামলার বাদী তরুণীসহ এক হাজারের বেশি নারী পাচারে জড়িত ছিলেন গ্রেফতার মেহেদী হাসান বাবু। তার ডায়েরিতে নারী পাচারের সব তথ্য রয়েছে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।