বাবুল দাস বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আমাদের ঘর দিয়েছে। আগের আমাদের কোনো ঠিকানা ছিল না। কষ্ট করে ঝুঁপড়ি ঘরে থাকতাম। এখন সুন্দর পাকা ঘরে থাকি। সুখে আছি। ’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় বাবুল দাস, শহিদুল গাজীর মতো আরও ৬০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার আশ্রয় পেয়েছেন খুলনার ডুমুরিয়া কাঁঠালতলার এ পুনর্বাসন কেন্দ্রে।দেশের সব নাগরিকের আবাসন নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। প্রথম ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর করে দিচ্ছে সরকার। গত জানুয়ারি মাসে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে চলমান কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে সারাদেশে একসঙ্গে ৬৯ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর দিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস জানান, আগামী রোববার (২০ জুন) দ্বিতীয় পর্যায়ে একসঙ্গে আরও প্রায় ৫৩ হাজার ৩৪০টি অসহায় পরিবারকে জমি ও ঘর দেবে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে এ জমি ও ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আরও এক লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব।একসঙ্গে এত মানুষকে বিনামূল্যে বাড়ি-ঘর দেওয়ার ঘটনা পৃথিবীতে নজিরবিহীন মন্তব্য করে আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে ভূমিহীন, গৃহহীনদের ঘর-বাড়ি নির্মাণের জন্য সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার নজির থাকলেও ভূমিহীন-গৃহহীনদের ডেকে তাদের বাড়ি-ঘর দেওয়ার নজির আর নেই। ’
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন জানান, সারা বাংলাদেশে ঘরও নেই, জমিও নেই এমন পরিবারের সংখ্যা দুই লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১। ভিটেমাটি আছে, ঘর জরাজীর্ণ কিংবা ঘর নেই এমন পরিবারের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ২৬১। গৃহনির্মাণের মাধ্যমে পুনর্বাসন করতে সারা বাংলাদেশে সব মিলিয়ে আট লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারকে তালিকাভুক্ত করেছে সরকার।দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় মানুষদের মধ্যে যাদের ভূমি নেই, তাদের সরকারের খাস জমি থেকে দুই শতাংশ ভিটে এবং ঘর দিচ্ছে সরকার। যাদের ভিটে আছে ঘর নেই, তাদের ঘর দিচ্ছে সরকার। প্রতিটি ঘর দুই কক্ষ বিশিষ্ট। এতে দু’টি করে কক্ষ ছাড়াও সামনে একটি বারান্দা, একটি টয়লেট, একটি রান্নাঘর এবং কিছুটা খোলা জায়গা থাকবে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো- ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন, ঋণ প্রদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা এবং আয় বাড়ে এমন কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ।