কলকাতা: ২০২২ সালের ১৪ মে উত্তরপ্রদেশে মেয়াদ শেষ হচ্ছে যোগী আদিত্য নাথের। অর্থাৎ আর বাকি মাত্র ঠিক ১১ মাস।তারপরেই ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন।বর্তমানে যেখানে রয়েছেন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ। তাই হাতে সময় কম। ফলে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে স্ট্র্যাটিজি কী হবে? তা নিয়ে জোর কদমে আলোচনা শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরেই।রাজ্যটিতে কংগ্রেসের দায়িত্বে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাই তাকে সামনে রেখে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস একাই নির্বাচনে লড়বে নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি বিরোধী জোটের সঙ্গে হাত মিলাবেন তাই নিয়ে দলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।ইতোমধ্যে উত্তর খুঁজতে অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা শুরু করেছে কংগ্রেস। ঠিক হয়েছে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ‘সেবা স্বরাজ’ নামে একটি বিশেষ কর্মসূচি চালাবে। সেবা দ্বারা মানুষের পাশে থেকে মন জয়ের চেষ্টা হবে। জোর দেওয়া হবে না সেই মন জয় ভোট বাক্স রুপান্তরে। তারই লক্ষ্যে একেবারে তৃণমূল স্তরে কাজে নামছে রাজ্যটি কংগ্রেস দল। সেই মতো উত্তরপ্রদেশের ৫৬ হাজার গ্রামকে টার্গেট করে ঝাপাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও তার দল।কর্মসূচির প্রথম স্তরের পরিকল্পনা হিসেবে ঠিক করা হয়েছে রাজ্যটিতে এখন যারা করোনার কারণে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তাদের দেওয়া হবে কোভিড কিট। পাশাপাশি অনলাইনে চিকিৎসকদের সঙ্গে যাতে করোনারোগীরা পরামর্শ নিতে পারেন তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে টেলি কলিংয়ের।জেলায় জেলায় দেওয়া হবে অ্যাম্বুলেন্স। কেনা হচ্ছে লাখো লাখো স্যানিটাইজার ও মাস্ক। পাশাপাশি কোভিড সামাল দিতে যোগী সরকারের চরম ব্যর্থতার কথা তুলে ধরতে লাগাতার চাপ দিচ্ছেন সোনিয়া কন্যা প্রিয়াঙ্কা।কিন্তু আদৌ কী এসব পরিকল্পনা কাজে দেবে? তা নিয়ে জাতীয় কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। এর কারণ ২০১৯ সালের ভারতের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে প্রচারের মুখ ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে, তা কাজে দেয়নি।এছাড়া ভারতের ৫ রাজ্যে হয়ে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনে ২ মে ফল আসতেই দেখা যায় ভালো ফল করতে পারেনি কংগ্রেস। আসাম, কেরল, তামিলনাড়ু, পদুচেরি বিধানসভা ভোটে প্রিয়াঙ্কাকে মুখ করে প্রচারের পর সেখানে কংগ্রেস মুখ থুবরে পড়েছে।অন্যদিকে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের কেউ প্রচার না করলেও পশ্চিমবঙ্গে আসন সংখ্যা শূন্য। ফলে ভারতের আসন্ন রাজ্যগুলোতে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একলা চলো নীতি নেবে নাকি মমতার বিজেপি বিরোধী জোটের সঙ্গে যুক্ত হবে তাই নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।