এদিকে চীন থেকে প্রথম দফায় গত ১২ মে ৫ লাখ সিনোফার্ম টিকা উপহার পায় বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৩ জুন আরো ৬ লাখ সিনোফার্ম টিকা উপহার দেয় চীন। এছাড়া চীনা টিকার সঙ্গে বেশ কিছু মেডিক্যাল সামগ্রী ঢাকায় এসেছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে এসব মেডিক্যাল সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশকে দেওয়া উপহারের টিকায় ভারত কোনো শর্ত দেয়নি। তবে চীনের উপহারের টিকায় একটি শর্ত দেওয়া আছে। বাংলাদেশে যেসব চীনা নাগরিক বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করছেন, তাদেরকে চীনা টিকা দেওয়ার জন্য শর্ত দিয়েছে চীন। বাংলাদেশে অবস্থানরত ১৫ হাজার চীনা নাগরিককে ৩০ হাজার সিনোফার্ম টিকা দেওয়ার জন্য শর্ত দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী চীনা নাগরিকরা টিকা পাচ্ছেন।
ভারত ও চীন টিকা উপহারের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে মেডিক্যাল সামগ্রীও বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে। আবার বাংলাদেশকেও ভারত ও চীনকে টিকা না দিলেও মেডিক্যাল সামগ্রী উপহার দিয়েছে।
ভারত ও চীন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ হলেও উভয় দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে। উভয় দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উষ্ণ। সে কারণে করোনা মোকাবিলায় উভয় দেশই বাংলাদেশকে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের টিকা প্রয়োজন। যেকোনো দেশ টিকা দিলে বাংলাদেশ সেটা গ্রহণ করবে। ভারত ও চীনের টিকা উপহারে দেশ দুইটির সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।