ভারত-চীনের ৪৪ লাখ টিকা উপহার

ভারত-চীনের ৪৪ লাখ টিকা উপহার
ঢাকা: ভারত ও চীন থেকে বাংলাদেশ ৪৪ লাখ টিকা উপহার পেয়েছে। প্রথম দিকে ভারত-বাংলাদেশকে টিকা উপহার দিলেও চীন দেয়নি।তবে, পরবর্তীতে চীনও বাংলাদেশকে টিকা উপহার দিয়েছে।বাংলাদেশকে ভারত এ পর্যন্ত তিন দফায় টিকা উপহার দিয়েছে ৩৩ লাখ। আর চীন দুই দফায় টিকা উপহার দিয়েছে ১১ লাখ।ভারত প্রথম দফায় চলতি বছর ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ টিকা উপহার দেয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকায় এলে ১২ লাখ টিকা উপহার দেন। তৃতীয় দফায় ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরভানে ৮ এপ্রিল ঢাকায় এলে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের কাছে এক লাখ উপহারের টিকা হস্তান্তর করেন।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশ তিন কোটি টিকা কিনতে চুক্তিবদ্ধ হলেও নির্ধারিত সময়ে টিকা পাওয়া যায়নি। ভারত থেকে চুক্তির মাত্র ৭০ লাখ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। ভারতে করোনা প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে সক্ষম না হওয়ায় টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয় দেশটি। তবে, চুক্তি অনুযায়ী টিকা না দিতে পারলেও প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশ হিসেবে ৩৩ লাখ টিকা উপহার দিয়েছে ভারত।

এদিকে চীন থেকে প্রথম দফায় গত ১২ মে ৫ লাখ সিনোফার্ম টিকা উপহার পায় বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৩ জুন আরো ৬ লাখ সিনোফার্ম টিকা উপহার দেয় চীন। এছাড়া চীনা টিকার সঙ্গে বেশ কিছু মেডিক্যাল সামগ্রী ঢাকায় এসেছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে এসব মেডিক্যাল সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়।

বাংলাদেশকে দেওয়া উপহারের টিকায় ভারত কোনো শর্ত দেয়নি। তবে চীনের উপহারের টিকায় একটি শর্ত দেওয়া আছে। বাংলাদেশে যেসব চীনা নাগরিক বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করছেন, তাদেরকে চীনা টিকা দেওয়ার জন্য শর্ত দিয়েছে চীন। বাংলাদেশে অবস্থানরত ১৫ হাজার চীনা নাগরিককে ৩০ হাজার সিনোফার্ম টিকা দেওয়ার জন্য শর্ত দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী চীনা নাগরিকরা টিকা পাচ্ছেন।

ভারত ও চীন টিকা উপহারের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে মেডিক্যাল সামগ্রীও বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে। আবার বাংলাদেশকেও ভারত ও চীনকে টিকা না দিলেও মেডিক্যাল সামগ্রী উপহার দিয়েছে।

ভারত ও চীন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ হলেও উভয় দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে। উভয় দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উষ্ণ। সে কারণে করোনা মোকাবিলায় উভয় দেশই বাংলাদেশকে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের টিকা প্রয়োজন। যেকোনো দেশ টিকা দিলে বাংলাদেশ সেটা গ্রহণ করবে। ভারত ও চীনের টিকা উপহারে দেশ দুইটির সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন