সিলেট প্রতিনিধি : ‘পরকীয়া’র জেরে দশটি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আইনজীবী স্বামীকে হত্যা করেন স্ত্রী শিপা বেগম (৩৫)। হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত ছিল তার কথিত প্রেমিক শাহজাহান চৌধুরী।রোববার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালতে স্বামীকে হত্যার এমন রোমহর্ষক বর্ণনা দেন শিপা বেগম। জবানবন্দি নেওয়ার পর বিচারক শিপাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ বলেন, ৫ দিনের রিমান্ড শেষে রোববার বিকেলে শিপাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে আদালতে হাজির করা হয়।শিপার জবানবন্দির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ফেসবুকের সূত্র ধরে খালাতো ভাই শাহজাহানের প্রেমে পড়েন শিপা। এরপর দীর্ঘ তিনমাস লুকিয়ে শাহজাহানের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। তার স্বামী ডায়াবেটিসের রোগী। তাই প্রেমিকের পরিকল্পনা মাফিক গত ৩০ এপ্রিল রাতে ১০০ পাওয়ারের ১০ টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন। তাতে অসুস্থ হয়ে মারা যান অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন। পরে তিনি নিহতের বাড়িতে ফোন করে জানান তার স্বামী ডায়াবেটিস নীল হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।এরআগে গত ৬ জুন শিপাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালতের বিচারক শিপার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।সিলেট জেলা বারের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন (৪২) হত্যায় তার ছোট ভাই মনোয়ার হোসেন বাদী গত ২ জুন সিলেটের আদালতে দরখাস্ত মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ওই দিন হত্যা মামলাটি (নম্বর-৩(৬) ২০২১) রেকর্ড করার পর ৩ জুন শিপাকে নগরের তালতলার বাসা থেকে গ্রেফতার করে।মামলায় প্রধান আসামি করা হয় শিপার প্রেমিক সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ি রহমত আলীর ছেলে শাহজাহান চৌধুরীকে। এছাড়া শিপা বেগমের মা রাছনা বেগম (৫০), নগরীর রায়নগর ১০৪ বাসার মোতাহির আলীর ছেলে এনামুল হাসান (৪৫), সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে এসএম জলিল (৩৫), সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট থানাধীন কালাগুল এলাকার কালা মিয়ার ছেলে জাকির আহমদ (২৫), সিলেটের গোয়াইনঘাটের ছোটখেল গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে ফয়ছল আহমদ (২৬) ও নগরের সুবিদবাজার লন্ডনী রোডের বাসিন্দা নাইমারকে (২৫) আসামি করা হয়।