জেলা শহরের বনরূপা হাটে ফলটি কিনতে আসা মিতিলা চাকমাবলেন, আমি ছোটবেলা থেকে ফলটি খাই। আজও কিনে নিচ্ছি। তবে নাম জানা নেই। আমরা বলি, ‘রসকো গুলো’। তবে স্থানীয় বাঙালিদের কাছে ‘রক্ত গোটা’ কিংবা ‘রাক্ষুসি গুলো’ নামে পরিচিতি।বনরূপা হাটে ফলটি বিক্রি করতে আসা জেলা সদরের বন্ধুকভাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা সুমিত চাকমা জানান, আমার দাদু আমাদের নিজস্ব পাহাড়ে গাছটি লাগিয়েছিলেন। আমার বাবা গাছটিতে উৎপাদিত ফল বিক্রি করেছেন। এখন পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে আমিও বিক্রি করছি।তিনি আরও বলেন, মৌসুমে একটি গাছে কয়েক মণ ফল পাওয়া যায়। বাজারে তোলার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। দামও ভালো পাচ্ছি।পাহাড়ের আলোকচিত্রী রকি চাকমা বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে ফলটি খেয়েছি, অনেক সুস্বাদু। পাহাড়ের পাদদেশে ফলের গাছটি রোপণ করা হয়।তিনি আরও বলেন, গাছটির আয়ুষ্কাল সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে গাছটি রোপণের চার-পাঁচ বছরের মাথায় ফলন আসতে শুরু করে। গাছটি লম্বায় জলপাই গাছের সমান হয়ে থাকে। অনেকে এ ফলটিকে লুকলুকি মনে করেন। এটি আসলে লুকলুকি না অন্য কোনো ফল, তা অবশ্য স্থানীয় কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটি অঞ্চলের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক বলেন, স্থানীয় কৃষি বিভাগ অতীতে বুনো ফলটি নিয়ে কোনো গবেষণা না করলেও আমি এ অঞ্চলে আসার পর দেখলাম বাজারে ফলটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অনেক দামে বিক্রি হচ্ছে। তাই সম্প্রতি ফলটি বাজার থেকে কিনে এর একটি স্যাম্পল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি। তারা ফলটির গুণাগুণ, নাম নির্ধারণ করবেন। সেখান থেকে তথ্য পেলে আমরা স্থানীয়ভাবে পরিকল্পনা সাজাবো, এ ফল নিয়ে কি করা যায়।