নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর কারণে দেশে ফসলের খুব বেশি ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. ড. আব্দুর রাজ্জাক। এখনো ফসলের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য চূড়ান্ত না হলেও ব্যাপক বা বড় কোনো ক্ষতি হয়নি।সব ফসল হারভেস্ট হয়েছে। তবে কিছু শাক-সবজি যেটা ক্ষেতে ছিল সেটার ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) শাক-সবজি ও ফল রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে করণীয় নিয়ে পর্যালোচনা সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা জানান। এসময় অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয় ও অধীন বিভিন্ন সংস্থা প্রধান এবং শাকসবজি ও ফল রপ্তানিকারকরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফসলের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা মাঠে নির্দেশনা দিয়েছি, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা এটার মূল্যায়ন করছেন। আমরা কাল-পরশুর মধ্যে মোট ক্ষতির হিসাবটা পেয়ে যাবো, তখন আপনাদের দিতে পারবো।তিনি বলেন, সৌভাগ্যবশত লবণ সহনীয় যে ধান আমরা দিয়েছিলাম, ধানগুলো কাটা হয়েছে। কিছু শাক-সবজি যেটা ক্ষেত্রে ছিল সেটার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু ব্যাপক বা বড় কোনো ফসলের ক্ষতি হয়নি। সব ফসল হারভেস্ট হয়েছে। সবাই এখন আমন লাগানোর অপেক্ষা করছে, আউশ লাগাচ্ছে। ‘এছাড়া আপনারা শুনে খুশি হবেন ১০ থেকে ১৫ বছর আগে পটুয়াখালীতে কোনো মুগডাল হতো না। সেখানে এখন পটুয়াখালীতে প্রায় আড়াই থেকে ৩ লাখ টন মুগডাল হয়। এই মুগডালের অনেকটাই ইনশাআল্লাহ হারভেস্ট হয়ে গেছে। কাজেই খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে না। ’আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘরবাড়িতে যেভাবে পানি উঠেছে, এটা তাদের অনেক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষকে ঘরে ফিরিয়ে নেওয়া এবং খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করার সরকারের বড় দায়িত্ব। সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছে। ইনশাআল্লাহ পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া যাবে। এই মূহূর্তে খাবারের কোনো অভাব নেই।