ভোলা: ঝড়ের প্রভাবে ভোলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৫০টি পয়েন্টে সাড়ে ১৫ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৮০ মিটার সম্পূর্ণ এবং ১৫ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পয়েন্টের মধ্য ডিভিশন-১ এর আওতায় ১৬ ও ডিভিশন-২ এর আওতায় ৩৪ পয়েন্ট রয়েছে।অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের মধ্যে ভোলা সদর, দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনে সাড়ে ৬ কিলোমিটার এবং মনপুরা, চরফ্যাশন, লালমোহন ও তজুমদ্দিনে ৯ কিলোমিটার। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের মধ্যে বোরহানউদ্দিনের হাসাননগর ও মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নে ৮০ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এসব পয়েন্টে জোয়ার এলে ফের প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত উপকূলের মানুষ। তারা দ্রুত বাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।পাউবো জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৮৩ ও ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ৪-৫ ফুট পানিতে তলিয়ে যায় উপকূলের ৩০টি দ্বীপচর। পানিবন্দি হয়ে পড়েন ৫০ হাজার মানুষ। কিছু কিছু পয়েন্ট জোয়ারের পানি নেমে গেলেও কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ৮০ মিটার বাঁধ ইতোমধ্যে মেরামত করা হয়েছে। এছাড়া বাকি সাড়ে ১৫ কিলোমিটার বাঁধের মেরামত কাজ চলছে। এসব বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও জোয়ারের পানি প্রবেশের সম্ভাবনা নেই। বাঁধের সার্বিক পরিস্থিতি কিছুটা ভালো।