ঢাকা: লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আউয়ালের নির্দেশে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দীন নামে একজনকে কুপিয়ে খুনের ঘটনার অন্যতম আসামি মনির ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।রোববার (২৩ মে) ভোরে পল্লবী সাগুফতা হাউজিং এলাকায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ‘বন্দুকযুদ্ধ’র ঘটনা ঘটলে মনির নিহত হন।পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বুলবুল জানান, ডিবি মিরপুর বিভাগের একটি টিমের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ গুরুতর আহত হন মনির। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।নিহত মনির পল্লবীর চাঞ্চল্যকর সাহিনুদ্দীনকে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলেও জানান তিনি।জানা গেছে, সাহিনুদ্দীন হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি মনির। তিনি চাপাতি দিয়ে সাহিনুদ্দীনকে কুপিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।বৃহস্পতিবার (২১ মে) ভোরে ভৈরবে অভিযান চালিয়ে হত্যাকণ্ডের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী আউয়ালকে গ্রেফতার করে র্যাব।
খুনের নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক এমপি আউয়ালকে গ্রেফতারের পর র্যাব জানায়, মূলত জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। ঘটনার চার থেকে পাঁচ দিন আগে দুপুর বেলা আউয়ালের কলাবাগান অফিসে তাহের ও সুমন হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে। মাঠ পর্যায়ে হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য সুমনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সুমনের নেতৃত্বে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন সক্রিয়ভাবে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া সহযোগী হিসেবে আরো বেশ কয়েকজন যুক্ত ছিলেন।ঘটনার দিন ১৬ মে বিকেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। তারপর ভিকটিম সাহিন সন্তানসহ ঘটনাস্থলে এলে সুমন, মনির, মানিক, হাসান, ইকবাল ও মুরাদসহ ১০ থেকে ১২ জন এলোপাথাড়িভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পর্যায়ক্রমে সাহিনকে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যাকাণ্ডের পর সুমন আউয়ালকে মোবাইলে ফোন করে জানান ‘স্যার ফিনিশ’। পরে জড়িতরা দেশের বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দেন।