বিনোদন ডেস্ক: ‘ঈদের জন্য অনেক কাজের পরিকল্পনা ছিল। পুরোদমে শুটিং শুরুর কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংকটের কারণে দীর্ঘ শিডিউল বাতিল করা হয়েছে। তাই খুব একটা কাজ করা হয়নি। ঈদে আমার আটটি নাটক বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচার হয়েছে।’ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে কথাগুলো বলেন ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। শুটিংয়ের দীর্ঘ শিডিউল বাতিল করেছেন সাবিলা। স্বাভাবিকভাবে বেশিরভাগ ঘরবন্দি কাটছে। এ সময়ে নিজেকে কীভাবে ফিট রাখছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে এ অভিনেত্রী বলেনÑ‘যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যভবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছি। বার বার হাত ধোয়া, স্যানিটাইজ করাÑএসব কাজগুলো নিয়ম করেই করছি। তা ছাড়া ভিটামিন সি বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করছি।’ যদি এমন হতো পৃথিবী করোনামুক্ত, তবে ঈদুল ফিতরটা কীভাবে উদযাপন করতেন? জবাবে সাবিলা নূর বলেন, ‘যখন পৃথিবীতে করোনা ছিল না, ওই সময়ে ঈদের আগে প্রচন্ড কাজের চাপ থাকতো। সাধারণত ঈদের দিনটা ঘুমিয়ে বা বিশ্রাম নিয়েই আমার কাটে। হয়তো রাতেরবেলা পরিবারের সঙ্গে ডিনার করতাম। আমার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকার বাইরে বা দেশের বাইরে থাকেন। যদি করোনার এই সংকট না থাকতো তবে হয়তো ঢাকার ভেতরে যারা থাকেন তাদের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। খুব বেশি কিছু যে করতাম সত্যিরকার অর্থে তাও না।’ সাবিলা নূর অবসর পেলে বই পড়েন, মুভি দেখেন। পাঠক হিসেবে বইয়ের পোকা বলা যায়। এ বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমি বেশি বই পড়ি বলে সবাই আমাকে ‘নাট’ বলে। বেস্ট ফ্রেন্ডরা অবাক বিস্ময় প্রকাশ করে বলে, ‘তুই উইলিয়াম শেকস্পিয়ার এত এত বই কীভাবে পড়িস!’ কিন্তু আমার বই পড়তে খুব ভালো লাগে। তবে সম্প্রতি আমার রিডার্স ব্লক চলছে। বইপড়া শুরু করেও তা শেষ করতে পারছি না।’’ এদিকে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে অভিনয় করছেন সাবিলা নূর। কিছুদিন আগে এ সিনেমার মুম্বাই অংশের শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফিরেন তিনি। এ বিষয়ে সাবিলা নূর বলেনÑ‘এই অনুভূতিটা ঠিক ব্যাখ্যা করতে পারব না। ২০১০ সালে প্রথম টিভিসির কাজ করি। ২০১৪ সালে প্রথম টিভি নাটকে কাজ করি। সেই অর্থে খুব বেশিদিন হয়নি যে আমি কাজ করছি। এত কম সময়ে শ্যাম বেনেগাল স্যারের মতো এত বড় একজন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, নিঃসন্দেহে এটি আমার কাছে অনেক বড় একটি প্রাপ্তি। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক আমার ক্যারিয়ারের বড় একটি মাইলস্টোন। শুধু ক্যারিয়ার নয় জীবনের বড় একটি প্রাপ্তি এটি।’ শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সাবিলা নূর বলেন, ‘‘শুটিংয়ে শ্যাম বেনেগাল স্যার বলেছিলেন, ‘তোমার অভিব্যক্তি খুবই ভালো।’ এমন মন্তব্যর শোনার পরের যে অনুভূতি তা আমি ব্যাখ্যা করতে পারব না।’’