তবে দলের পরাজয়ের দায়ভার একেবারে ঝেড়ে ফেলেননি তিনি। এ নিয়ে বলেন, ‘বিজেপি যদি মানুষের কাছে ঠিক মতো বার্তা পৌঁছে দিতে না পারে, তা হলে দলের নেতৃত্বকে সে বিষয়ে ভাবতে হবে। ’
রূপা আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে ঢোকার পরে আমি শুনেছিলাম বাংলায় নাকি ‘ভোট করাতে হয়’। নির্বাচনের ফলাফল দেখে একটা কথা মনে হচ্ছে—জাতীয় নির্বাচন কমিশন বাংলার ভোট-প্রকৃতি নিয়ে ততটাও ওয়াকিবহাল নয়। বিভিন্ন জায়গায় নিজে কথা বলে জেনেছি, ভিভি প্যাটের গণনায় গোলমাল হয়েছে। প্রথম দিকে দেখা যাচ্ছিল তৃণমূল জিতছে। কিন্তু ব্যবধানে খুব বেশি নয়। তার পরে আচমকাই বড় অঙ্কের ভোট পেয়ে যায় তারা। ’
বিজেপি জয়ী হলে গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ করে দেবে-এমন গুঞ্জন নিয়ে রূপা বলেন, ‘বাংলায় এখনও পর্যন্ত কোনো বিজেপি নেতা নিজের মুখে এমন কিছু বলেছেন? কই গোয়ার কথা তো কেউ বলে না! গোয়া তো বিজেপির রাজ্য। সেখানে এখনও পর্যন্ত গরুর মাংস নিষিদ্ধ হয়নি। হবেও না কোনও দিন। ’
বিজেপির পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করে রূপা বলেন, বিজেপি ‘বাংলায় কায়দার রাজনীতি’ করতে পারেনি বলে হেরেছে।