শেষ মুহূর্তে ঘরমুখো মানুষের ঢল

শেষ মুহূর্তে ঘরমুখো মানুষের ঢল
ঢাকা: মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে যেন কোনোকিছুই স্বাভাবিকতা নেই। অজানা এক আতঙ্ককে সঙ্গে নিয়েই সবক্ষেত্রে জীবন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা। তবুও স্বাভাবিক নিয়মেই দিন-মাস-বছর ঘুরে আবার দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
এবারের ঈদ আনন্দে করোনার প্রকোপ কমাতে দূরপাল্লার সব পরিবহন বন্ধসহ বিভিন্ন বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সরকার। তবুও সবকিছু উপেক্ষা করে আতঙ্ককে সঙ্গী করেই মানুষের ঘরে ফেরার তাড়া। আপনজনের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপনে যে যেভাবে পারছেন সেভাবেই ছুটছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ঈদের আগের দিন শেষ সময়ে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে রাজধানীর গাবতলী এলাকায়। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই শেষ সময় ছেড়ে যাচ্ছে কিছু দূরপাল্লার গণপরিবহন।

এদিন বিকেলে সরেজমিনে গাবতলী-আমিনবাজার এলাকা ঘুরে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় দেখা গেছে। গত কয়েকদিন প্রায় সব দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও আজ অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত দূরপাল্লার লোকাল কিছু বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে চলাচলরত তিশা স্পেশাল পরিবহনের একটি বাসে যাত্রী তোলা হচ্ছিলো গাবতলী টার্মিনালে। প্রতিজন ৭০০ টাকা করে প্রতি সিটেই যাত্রী উঠাতে দেখা গেছে।

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাস নিয়ে যেতে পারবে কি-না জানতে চাইলে বাসচালক হারুন জানান, সকাল থেকে কিছু কিছু বাস যাচ্ছে। তাদের মতে কোনো সমস্যা হবে না।
হারুনের মতে, মানুষ বাড়িতো যাচ্ছেই, কাউকে আটকানো যাচ্ছে না। এর মধ্যে বাস বন্ধ রেখে শুধু পরিবহন শ্রমিকদের ক্ষতি করা হলো। প্রায় এক মাস বেকার থেকে পরিবহন শ্রমিকদের কারো ঘরেই এবার ঈদ নেই। শেষ সময়ে দুই-একটা ট্রিপ দিতে পারলে কিছু আয় হবে এ আশায় গাড়ি ছাড়ছেন তারা।

স্বাস্থ্যবিধির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরাতো কাউকে জোর করে গাড়িতে তুলছি না, কেউ গেলে যাবেন, না গেলে না যাবেন।

গত কয়েকদিন মানুষের দুর্ভোগের অবস্থা দেখে শেষ সময়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাইফুল ইসলাম। গাবতলী এসে কুষ্টিয়া যাওয়ার উপায় খুঁজছিলেন তিনি।

কথা প্রসঙ্গে সাইফুল বলেন, বাড়ি যাওয়া আটকাতে এবার বিভিন্ন অফিস থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরেও ঈদে বাবা-মা বাড়িতে অপেক্ষায় থাকেন। এ অবস্থায় যাবো কিনা ভাবতে ভাবতে দেরি করেই রওনা দিলাম। দেখা যাক কীভাবে যাওয়া যায়।

এদিকে, গত কয়েকদিনের মতো আমিনবাজার ব্রিজ পার হয়ে পিকআপ, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলে করে বাড়ির দিকে রওনা দিতে দেখা গেছে জনসাধারণকে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষজন পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যাওয়ার জন্য এসব যানবাহনে ঢাকা ছাড়ছেন। তারা ফেরি পার হয়ে ভেঙে ভেঙে বাড়ি যাবেন।

প্রায় সব পরিবহনেই বাড়তি ভাড়া আদায় করলেও ঘুরমুখো মানুষের সেদিকে খেয়াল করার সুযোগ কই? করোনা আতঙ্ক থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানারও তাগিদ নেই কারো মধ্যে। শেষ সময়ে বাড়ি ফেরাটাই যেন সবার প্রধান লক্ষ্য

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

পবিপ্রবি র‌্যাগিংয়ে আহত পাঁচ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি

বড়াইগ্রামে নির্যাতিত আ’লীগ কর্মীর বাড়িতে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী