ঢাকা: ভোর রাতের আগুনে পুড়ে গেছে স্বপ্ন। প্রিয়জনকে সেহেরি খেতে ডাকার মুহূর্তে খবর এলো তাদের দগ্ধ হওয়ার।সেই মানুষগুলোর খবর নিতে স্বজনরা এখন অপেক্ষা করছেন।শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এ দৃশ্য নজরে আসে। আরমানিটোলার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ২০ জন এখানে চিকিৎসাধীন।ইনস্টিটিউটের পাঁচতলায় অবস্থিত পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটের সামনে কথা হচ্ছিল নাঈমা বেগমের সঙ্গে। পুত্রবধূ ফাবিহার দগ্ধ হওয়ার খবরে ছুটে এসেছেন তিনি।
তিনি বলেন, শুক্রবার ভোর রাতে সেহরির সময় ফাবিহাকে ফোন দিয়েছিলাম। সে সময় আমাকে বলে, আম্মা আমাদের বিল্ডিংয়ে আগুন লাগছে। প্রচণ্ড গরম। পরে কথা বলবো। এর পর শুনি সে হাসপাতালে ভর্তি। মেয়েটার সুস্থ হয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।সূত্রাপুরের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের ছয়জন স্বজন হাসপাতালে ভর্তি। তার বোন লায়লা বেগম, দুলাভাই দেলোয়ার হোসেন, দুই ভাগ্নে সাফায়েত ও সাকের হোসেন, সাফায়েতের স্ত্রী মিলি ও বাচ্চা ইসপিয়া।তিনি বলেন, সাফায়েত এখনও আইসিইউতে। বাকিরা থেরাপি নিচ্ছেন। ডাক্তাররা বলছেন, ভালো আছে। কিন্তু সবাইকে নিয়ে খুব টেনশনে আছি ভাই। জানি না কী হবে।আরমানিটোলার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সর্বমোট ২১ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও নয়জন নারী।এদের মধ্যে বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন চারজন। তার হলেন- আশিকুর রহমান (৩৩) ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান মুনা (৩০), খোরশেদ আলম ও সাফায়েত হোসেন।পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন- আকাশ (২২), আসমা সিদ্দিকা (৪৫), চাশমেরা বেগম (৬০), দেলোয়ার হোসেন (৫৮), ইসপিয়া (২), মুহাম্মদ ইয়াসিন (৬০), জুনায়েদ (১৯), লায়লা বেগম (৫৫), মো. ফারুক (৫৫), মেহেরুন্নেসা (৫০), মিলি (২২), ফাবিহা (২৬), সাখাওয়াত হোসেন (২৭), সাকির হোসেন (৩০), সুফিয়া (৫০) ও ইউনুস মোল্লা (৬০)৷এছাড়া মো. মোস্তফা (৪০) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। শুক্রবার ভোর রাতে আরমানিটোলা খেলার মাঠ সংলগ্ন হাজী মুসা ম্যানশনের ছয়তলা ভবনের নিচতলায় কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লেগে নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে দগ্ধ ও ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্তত ২১ জন। আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে এ লাগলে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট কাজ করে ভোর সোয়া ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।