বরিশাল: বিগত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে ১৩৭ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। আর করোনা পজিটিভ ৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩২ জন। এছাড়া গেলো ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে আরো ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ে বরিশাল বিভাগে সংক্রমণের হার কম ছিলো। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার বেশি। এই অবস্থায় শুধু করোনার টিকা গ্রহণ করলেই চলবে না স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর বলছে, ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বরিশাল জেলায় ৭১ জন। এরপর ভোলা জেলায় ৪১, ঝালকাঠিতে ১২, পিরোজপুরে ৫, পটুয়াখালীতে ৫ ও বরগুনায় ৩ জন রয়েছেন। এ নিয়ে ১৩ মাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৭৪ জন। এরমধ্যে সর্বোচ্চ বরিশালে ৫ হাজার ৮৬৬, এরপর পটুয়াখালীতে ১ হাজার ৯৩৮ জন, ভোলায় ১ হাজার ৪৫৭ জন, পিরোজপুরে ১ হাজার ৪১২, বরগুনায় ১ হাজার ১৩৬ জন এবং ঝালকাঠিতে ১ হাজার ৬৫ জন। এই ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জন রোগী বরিশাল বিভাগে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন। যা নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৮৯০ জন। অর্থাৎ আক্রান্ত শনাক্তের মধ্যে ১ হাজার ৯৮৪ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে কিছু রোগী হাসপাতালে, অন্যরা নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন। বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন বরিশাল জেলায়। মোট মৃত্যুবরণ করা ২৩২ জনের মধ্যে বরিশাল জেলায় সর্বোচ্চ ৯৬ জন, এরপর পটুয়াখালীতে ৪৭ জন, পিরোজপুরে ২৯ জন, বরগুনায় ২২ জন, ঝালকাঠিতে ২১ জন এবং ভোলায় ১৭ জন। বরিশাল বিভাগের মধ্যে সর্বপ্রথম ২০২০ সালের ৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জ ফেরত পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার এক শ্রমিক আক্রান্ত শনাক্ত হন। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত ৪ শত ১ দিনের আপডেটে এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।