গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানার নিজ বাড়ি থেকে হাসান আলী (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের একদিন পেরুলেও মামলা রেকর্ড হয়নি। এ ঘটনায় শনিবার (১০ এপ্রিল) রাতেই মাসুদসহ তিন জনকে আসামি করে থানায় এজাহার দেন নিহতের স্ত্রী বীথি বেগম।রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত মামলা রেকর্ড না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান।এর আগে সকালে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মামলা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।এ সময় তিনি জানান, নিহতের পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে দেখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকনা কেন সবাই অবশ্যই শাস্তির আওতায় আসবেন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়ার্টার আবুল খায়ের, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আবু লাইচ মো. ইলিয়াছ জিকু, পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইওয়ান) মো. আব্দুল লতিফ প্রমুখ।গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগে উপ-দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানার বাড়ি থেকে শনিবার দুপুরে পুলিশ হাসান আলী নামে এক জুতা ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুদে টাকা লেনদেনের কারণে তাকে বাড়িতে এক মাস ধরে আটকে রেখে মাসুদ রানা হত্যা করেন বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ।