নিজস্ব প্রতিবেদক : শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলী বা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ তথা এক সপ্তাহের লকডাউনের প্রথম দিন সোমবার (৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে চলছে সীমিত পরিসরে কার্যক্রম। কর্মকর্তারা প্রায় শতভাগ উপস্থিত থাকলেও কর্মচারীদের সীমিত পরিসরে অফিসে নেওয়া হয়েছে।অন্যান্য দিন সচিবালয়ে জনসমাগম এবং যানবাহনের চাপ দেখা গেলেও এদিন প্রায় অর্ধেক।আর এ দিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকে মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। তবে সচিবালয়ে অন্যান্য দিন কিছু দর্শনার্থী দেখা গেলেও মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিন হওয়ায় দর্শনার্থী নেই বললেই চলে। ‘করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ’ শিরোনামে রোববার (০৪ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ। ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত প্রতিপালনের জন্য প্রজ্ঞাপনে ১১টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।প্রজ্ঞাপনের ৩ নম্বর শর্তে অফিস-আদালত নিয়ে বলা হয়, সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে।সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লকডাউনের আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া ১৮ দফা এবং লকডাউন দেওয়ার পর যেসব নির্দেশনা তা প্রতিপালন করা হচ্ছে। কর্মচারীদের রোস্টার করে দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তথ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের এ দপ্তরে প্রায় সব সময়ই কাজ থাকে। তবে লকডাউনের নির্দেশনা অনুযায়ী কয়েকজন বাদে সবাই অফিসে এসেছেন।সচিবালয়ের ভবনগুলোর সামনে ব্যক্তিগত বা অফিসের গাড়ির জটলা দেখা গেলেও এদিন তেমন গাড়ি দেখা যায়নি। অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে সচিবালয় প্রাঙ্গণ। আর গত বছরের লকডাউনে সচিবালয় একেবারে বন্ধ থাকলেও এবার সব মন্ত্রণালয়ে কাজকর্ম চলছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ বলেন, তাদের মন্ত্রণালয়ের জরুরি এবং উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে শতভাগ উপস্থিতি রয়েছে। অন্যগুলোয় রোস্টার অনুযায়ী উপস্থিতি রয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮ দফা নির্দেশনা মেনে তারা আগেই রোস্টার করেছেন। সে অনুযায়ী অফিস কাজ চলছে।এদিকে, লকডাউনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিয়ে রোস্টার তৈরি করে নোটিশ জারি করছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। সেখানে কর্মকর্তা ছাড়া কর্মচারীদের রোস্টার করে ডিউটি দেওয়া হচ্ছে।