আরো ২ হাজার চিকিত্সক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু

আরো ২ হাজার চিকিত্সক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু

আরো ২ হাজার চিকিত্সক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। সরকারের চাহিদা অনুযায়ী বিধিমালা সংশোধনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বিধিমালা সংশোধন হয়ে এলে বিসিএসের ক্রমিক নম্বর ফেলে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করবে পিএসসি। স্বল্প সময়ের মধ্যে চিকিত্সক নিয়োগের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চিকিত্সক নিয়োগে নতুন করে চাহিদাপত্র পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন সভা করা হয়। বিশেষ বিসিএসের আয়োজনের জন্য চলমান বিধিমালা সংশোধনী কমিশনের সদস্যরা অনুমোদন দিয়েছেন। ২ হাজার চিকিত্সক নিয়োগের জন্য সংশোধনী বিধিমালা মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে।

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ২ হাজার চিকিত্সক নিয়োগের সুপারিশ পিএসসিতে পাঠানো হয়। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সা প্রদানের জন্য ২ হাজার পদ সৃজনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ৬ জুন অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠালে ১০ জুন অর্থ বিভাগ অনুমোদন দেয়। বাড়তি চিকিত্সকের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সারসংক্ষেপ পাঠালে গত ১৮ জুন প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেন। ১ জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাব ও অর্থ কর্মকর্তার অনুমোদনের পর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নতুন চিকিত্সক নিয়োগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়। চিকিত্সক নিয়োগে ৪২তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।

পিএসসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি জারির চেষ্টা চলছে। ৪১তম সাধারণ বিসিএসের আগে হয়তো ৪২তম বিসিএসের কার্যক্রম শুরু হবে। আশা করছি আগামী ৬ মাসের মধ্যে ২ হাজার চিকিত্সক নিয়োগের কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মে মাসেই নতুন করে ২ হাজার চিকিত্সক নিয়োগ দেয় সরকার। তারা ইতিমধ্যে কাজেও যোগ দিয়েছেন। নতুন কোনো পরীক্ষা না নিয়ে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে তাদের নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ৩৯তম বিসিএসের নন ক্যাডারের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে তারা আর প্রার্থী চান না। এর বদলে নতুন করে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার চিকিত্সক নিয়োগ হোক।

৩৯তম ব্যাচে উত্তীর্ণদের ভেতর থেকে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিত্সককে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। ঐ বছরেরই নভেম্বর মাসে ৪ হাজার ৪৪৩ জনকে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একই বিসিএসে উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৩৬০ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য রাখা হয়। এর মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে সেই ৮ হাজার ৩৬০ জনের মধ্য থেকেই গত মে মাসে ২ হাজার জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই নন-ক্যাডারের তালিকায় আরো ৬ হাজার ৩৬০ জন চিকিত্সক অপেক্ষায় আছেন।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

ঈদগাঁও–ঈদগড় সড়কে গুম ও ডাকাতি দমনে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি

শিবচরে মাদক রোধে ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি দিল উপজেলা বিএনপি