মুগদা প্রতিনিধি : রাজধানীর মুগদায় বাসায় ঢুকে জজ মিয়া ওরফে আলামিন (২৫) নামে এক যুবককে তারই দোকানের কর্মচারী গলা কেটে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় দোকান কর্মচারী জোবায়েরসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোয়েব খান বিষয়টি জানান।এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) দিনরাত সাড়ে ১১টার দিকে উত্তর মুগদা বাসার টাওয়ারের পিছনে সর্দার গলির ১২৪/এ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।এসআই সোয়েব খান জানান, খবর পেয়ে গত রাত ১২টার দিকে ওই বাসার ৫ম তলা থেকে জজ মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা দেখা যায়। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।তিনি জানান, জজ মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামে। স্ত্রী কল্পনা ও ছোট ভাই হোসাইনকে নিয়ে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি। মুগদা বিশ্বরোডের ঢালে তার একটি লন্ড্রির দোকান রয়েছে। ওই দোকানেরই কর্মচারী জোবায়ের। গতরাতে জজ মিয়া বাসায় ছিলো। তখন কর্মচারী জোবায়ের ও বড় ভাই শাকিল ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার বাসায় ঢুকেন। জজ মিয়ার স্ত্রী ও ছোট ভাই ভয় পেয়ে বাথরুমে ঢুকে দরজা আটকিয়ে চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় তারা জজ মিয়াকে গলা কেটে হত্যা করেন। চিৎকারে ঘাতকরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আশপাশের লোকজন তাদের ধরে ফেলেন। পরে থানায় খবর দেন।দোকান কর্মচারী জোবায়েরের বাড়ি আর নিহত জজ মিয়ার বাড়ি একই গ্রামে পাশাপাশি। গ্রামের কোনো দ্বন্দ্ব বা দোকানের কোনো দ্বন্দ্বের জেরেই ঘাতক কর্মচারী ও তার বড় ভাই মিলে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানান এসআই।