নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স পি কে অ্যাগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড এই চাল সরবরাহ করবে।বুধবার (২৪ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে ক্রয় প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ৬টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৩টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ৬টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১,৪৯৩ কোটি ৪৯ লাখ ৪৫ হাজার ৭৭৩ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৯৫৮ কোটি ৯৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯১৬ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য (এডিবি, এএফডি ও ইআইবি ঋণ) ৫৩৪ কোটি ৫৪ লাখ ৫ হাজার ৮৫৭ টাকা।বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ৫০ হাজার মেট্রিক টন (+৫%) নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির একটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স পি কে অ্যাগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড এই চাল সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে ১৭৭ কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার ৪০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন চালে দাম পড়বে ৪৩০ মার্কিন ডলার।তিনি বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক এক্সেলারেট এনার্জি এলপি, ইউএস-এর কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি ইউনিট এলএনজির দাম ৬.৫৩০০ মার্কিন ডলার হিসেবে এতে মোট ব্যয় হবে ২১৮ কোটি ৭ লাখ ২৯ হাজার ২৩ টাকা।এছাড়া বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ঢাকা ওয়াসার ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই (ডিইএসডব্লিউএস) প্রকল্পের প্যাকেজ-২ এর আওতায় গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার থেকে বারিধারা পর্যন্ত ১৪ কি.মি. পরিশোধিত পানির ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন কাজে চায়না সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৭৭৭ কোটি ৪০ লাখ ৫ হাজার ২৭ টাকা।