নোয়াখালী: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এবার কোম্পানীগঞ্জে আগুন জ্বলবে বলে হুমকি দিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে শোন অ্যারেস্ট দেখানোর জোর দাবি জানিয়ে তিনি এ হুমকি দেন।অপরদিকে, তার স্ট্যাটাস দেওয়ার দুই ঘণ্টা পর তিন মামলায় জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পান সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।আবদুল কাদের মির্জা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, ‘সাংবাদিক মুজাক্কিরকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী মিজানুর রহমান বাদল। তাকে শোন অ্যারেস্টের (গ্রেফতার দেখানো) জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় কোম্পানীগঞ্জে আগুন জ্বলবে। ’এর আগে সকাল ১১টায় ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার হুমকি দেন আবদুল কাদের মির্জা। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি, গত সংসদ নির্বাচনে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে যেভাবে রাতের অন্ধকারে তার বাসা থেকে সিএমএইচে নিয়ে গেছে, সে রকম কিছু করার জন্য আজ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন ওবায়দুল কাদের সাহেব, ওনার স্ত্রীর প্ররোচনায়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি দেশবাসীকে জানিয়ে দিচ্ছি, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমি সঙ্গে সঙ্গে আত্মহত্যা করব। আমার ওপর যদি কিছু ঘটাতে আসেন, আমি বলে দিচ্ছি, আমি আত্মহত্যা করব। আমি কোনো অসত্যের কাছে মাথা নত করব না। ’কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের মধ্যে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে। চলমান বিরোধের জের ধরে ৯ মার্চ বসুরহাট পৌরসভার সামনে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আলাউদ্দিন নামে এক অটোরিকশাচালক। এসময় আরও ১২ জন গুলিবিদ্ধ হন। ১৪ মার্চ দুপুরে আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন ওরফে রাজু সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন।একই বিরোধের জের ধরে এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। পুলিশও কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ সাত-আটজন। পরে ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত পৌনে ১১টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুজাক্কির।ওই ঘটনায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে মুজাক্কিরের বাবা নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।