চট্টগ্রাম: নগরের লালদিয়ার চরে সোমবার (১ মার্চ) উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করে বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও লালদিয়ার চর পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটিকে জানিয়ে দিয়েছেন।এ সময় বন্দর চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে লালদিয়ার চরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় বন্দর কর্তৃপক্ষ বাধ্য। এ লক্ষ্যে ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ছয়টি জোনে ভাগ করে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর প্রাথমিক পরিকল্পনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক র্যাব, পুলিশ, আনসার মোতায়েনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত শ্রমিক, বুলডোজার, স্ক্যাভেটার, ট্রাকেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।ইতিমধ্যে উচ্ছেদের আওতাভুক্ত প্রায় ৫২ একর এলাকার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাইকিংও করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই বাসাবাড়ির আসবাব, তৈজসপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছি: আলমগীর
লালদিয়ার চর পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আলমগীর হাসানের কাছে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে আমরা বৈঠক করেছি। নিষ্ফল বৈঠক হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ আদালতের রায় ও নির্দেশনা থাকায় উচ্ছেদ অভিযান ১ মার্চ পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে লালদিয়ার চরের পরিবারগুলোকে খাসজমিতে পুনর্বাসনের জোর দাবি জানিয়েছি।
চূড়ান্ত প্রস্তুতি সভা রোববার
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১ মার্চ) উচ্ছেদ অভিযান সামনে রেখে রোববার (২৮ মার্চ) প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সঙ্গে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সভা করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।