মাদারীপুর প্রতিনিধি
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, সারাদেশে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী কমিটি রয়েছে। তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নদীতে যারাই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করবে তাদের কোনরকম ছাড় নেই। সে যত বড়ই হোক না কেন। খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় আট হাজার কোটি টাকা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। শিবচরেও ৩শ’ ৯৪ কোটি টাকার প্রকল্প এখন টেন্ডারের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া মাদারীপুর শহর রক্ষা বাঁধ টেকসট ও মজবুত করতে ইতোমধ্যে টেকনিক্যাল কমিটি করে দেয়া হয়েছে, কমিটিরাই কাজ বাস্তবায়ন করবে। আগামী বর্ষার আগেই শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। মাদারীপুরে শুক্রবার সকালে শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী আরো বলেন, করোনার কারনে আমাদের সাময়িক অসুবিধা হলেও তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। বিশ্বের বড় বড় নেতারা যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সঠিকভাবে নেতৃত্বে দিচ্ছেন বলেই করোনাকালীন কঠিন সময়ে ও বন্যায় দেশের কোনো মানুষ না খেয়ে থাকেনি। তিনি ক্ষমতায় থাকতে এদেশের কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ দেশের মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময় সব মানুষের পাশে ছিল, আছে ও থাকবে। তার নেতৃত্বে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, এমপি ও আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। একেএম এনামুল হক শামীম এর আগে মাদারীপুর জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে গবীর অসহায়দের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তখন তিনি পৌরসভা সম্মলেন কক্ষে একটি সুধী-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এএম আমিনুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান খান, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, সাংবাদিক প্রণব কুমার সাহা অপূর্বসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।