ঢাকা: বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছেন আদালত।মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘিরে রাজধানীর পুরান ঢাকায় আদালত কেন্দ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করবেন। এ রায় কেন্দ্র করে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বর ও এর আশপাশের এলাকায় সার্বিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পথচারীদের গতিবিধি নজরদারির পাশাপাশি আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতেও তল্লাশির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।পুরো এলাকায় বাড়তি সংখ্যক পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানায়, অভিজিৎ হত্যার রায় কেন্দ্র করে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই আদালত প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশ এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। রায় ঘোষণা পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।আদালত প্রাঙ্গণে দায়িত্বরত কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) নাজমুল হক বলেন, ‘অন্য স্বাভাবিক দিনের তুলনায় আজ আদালত প্রাঙ্গণে বাড়তি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। অভিজিৎ হত্যার রায়কে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। সব মানুষকে তল্লাশি করে আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। ’২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে অভিজিৎকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।এ ঘটনায় পরে অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।২০১৯ সালের ১৩ মার্চ আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর একই বছর ১ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। ওই বছরের ২৮ অক্টোবর অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায়ের সাক্ষ্যের মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। অবশ্য ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর অজয় রায় পরলোকগমন করেন।গত ২০ জানুয়ারি মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ৩৪ সাক্ষীর মধ্যে মোট ২৮ জন সাক্ষ্য দেন।এ মামলার আসামিরা হলেন— বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমুম, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম, শফিউর রহমান ফারাবী, আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান৷ এদের মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম পলাতক।
One Comments