নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আল জাজিরার রিপোর্টের ড্যামেজ কন্ট্রোলের (ভাবমূর্তিক্ষয় ঠেকানো) জন্য প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নিচ্ছেন? খেতাব কেড়ে নিয়ে আপনারা ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পারবেন না। এটা তো কোটি কোটি মানুষ দেখে ফেলেছে। গতকাল শনিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিলে সরকারের উদ্যোগের প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। রুহুল কবির রিজভী বলেন, যে মানুষ (জিয়াউর রহমান) রাজনীতিকে গ্রামে নিয়ে গেছেন, যে মানুষটি মিশে ছিলেন এ দেশের কাদা-মাটি ও পলিমাটির মধ্যে। নদীর উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে যার নাম মিশে আছে, মিশে আছে জনগণের মনে। সেই নাম কোনো দিনও মুছে ফেলা যাবে না। ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন কবিয়াল আছেন। আপনারা কি চেনেন? তার বাড়ি হচ্ছে নোয়াখালী। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তার নাম হচ্ছে ওবায়দুল কাদের। তিনি কবিতার আকারে কথা বলেন, তিনি গতকাল (গত শুক্রবার) বলেছেন আলজাজিরার পেছনে কারা কারা আছে, আমরা সেটা খুঁজে পেয়েছি। আমি আগেই বলেছি, আওয়ামী লীগের ক্যারেক্টার হচ্ছে সন্ত্রাসীদের মতো, মাফিয়াদের মতো। রিজভী আরও বলেন, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিক দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন- ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাই অপরাধের অন্যতম কারণ। এই আওয়ামী লীগ এমন একটি সংগঠন; যেখানে প্রত্যেকেরই ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা। আপনারা সবাই দেখছেন- এখন জিপিএ ফাইভের ছড়াছড়ি। আর ১৯৭২ সালে ছিল নকলের ছড়াছড়ি। এইবার হলো অটোপাসের ছড়াছড়ি। এ কারণে সমাজ এবং রাষ্ট্রে অপরাধ বাড়ছে। আর আওয়ামী লীগে ভেতরে সবচেয়ে বেশি অপরাধ। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের বীরত্ব মহাকাব্যের মতো। জিয়াউর রহমানের বীরত্ব নিয়ে আগামী দিনে গান রচনা হবে, কবিতা রচনা হবে। শতাব্দীর পর শতাব্দী এদেশের জনগণের কণ্ঠে কণ্ঠে জিয়াউর রহমানের বীরত্বের গান, কবিতা ও গল্প আবৃত্তি হবে। ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, যুবদল মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।