নিজস্ব প্রতিবেদক : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তিনি জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে আজন্ম লড়াই সংগ্রাম করেছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন থেকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু জনগণের জন্য কল্যাণকর গণতন্ত্র চর্চা করে গেছেন। তিনি আরও বলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সোনার বাংলা উপহার দেয়াই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন। তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনের সাথে সম্পৃক্ত করে তাদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য উজ্জীবিত করতে হবে। গতকাল শনিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ‘বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার ভার্চুয়াল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রায় বায়ান্ন হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজয়ী বিশজন শিক্ষার্থীকে স্পিকারের পক্ষে পুরস্কার প্রদান করেন বিভাগীয় কমিশনারগণ। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দর্শন বাস্তবায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে নয় লক্ষ গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে ঘর প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে সত্তর হাজার গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে ঘর প্রদান করা হয়েছে। এটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য মাইলফলক। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মূখার্জি বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে আরমা দত্ত এমপি, বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ, মাঠ প্রশাসন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।