তবে মমতা যখন নন্দীগ্রামে, তখন মমতার ডেরায় অর্থাৎ দক্ষিণ কলকাতার টলিগঞ্জ থেকে রাসবিহারী পর্যন্ত মিছিল করলেন শুভেন্দু অধিকারী।মমতার প্রার্থী হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যের ২৯৪টি আসনে যেখান থেকে খুশি তিনি প্রার্থী হতে পারেন। ২১ বছর ওই দলটা করেছি। মাননীয়া (মমতা) ভোট এলেই নন্দীগ্রামে যান। ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর শেষবার নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন। আবার ঠিক ৫ বছর পর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে। তারপরে আর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ে না।যদি জিজ্ঞাসা করি নন্দীগ্রামের জন্য কী কী করেছেন উত্তর দিতে পারবেন? আজ সিঙ্গুরের কি অবস্থা। সিঙ্গুর থেকে শিল্প তাড়িয়ে রাজ্যের সর্বনাশ করেছে। রপরও সিঙ্গুরের কথা তিনি (মমতা) অষ্টম শ্রেণির পাঠ্য পুস্তকে রেখেছে। কিন্তু, নন্দীগ্রামের নাম কোথাও এক লাইনও লেখা নেই।যেসব পুলিশরা নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর জন্য অভিযুক্ত সেইসব পুলিশ কর্তাদের শিক্ষামন্ত্রী দলে ঠাঁই দিয়েছেন। এর জবাব নন্দীগ্রাম দেবেই দেবে। বিজেপি আমাকে নন্দীগ্রামে প্রার্থী করুক বা অন্য কাউকে, বলে রাখছি হাফ লাখ ভোটে মাননীয়াকে (মমতা) হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কত জায়গা থেকে দাঁড়াবেন উনি আগে তা ঠিক করুক। তৃণমূল দলটাই তো ভেঙে যাচ্ছে। প্রতিদিনই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কর্মীরা। এভাবে তো দলটাই রাখতে পারবে না মমতা। জেতা তো দূরের কথা।মমতার এহেন সিদ্ধান্তে কটাক্ষ করেছেন বামেরাও। তৃণমূল নেত্রীর এই ঘোষণা আসলে তাঁর ভীরু মানসিকতার লক্ষণ বলেই মনে করছেন বামেরা। এ প্রসঙ্গে বাম পরিষদীয় দলনেতা তথা সিপিআইএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেন, এতবছর তো তাদেরই সরকার ক্ষমতায়। নন্দীগ্রামে অন্যায় হয়েছে বলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল তিনি। তারাই আবার ক্লিনচিট দিয়েছেন বুদ্ধবাবুর সরকারকে। এতই যখন অত্যাচার করেছে বাম তাহলে একজন নেতা-মন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পুরতে পারলেন না কেনো? আসলে তিনি (মমতা) ভয় পেয়েছেন। ভবানীপুরে জিতবেন না বুঝতে পেরেই পালিয়ে গেলেন তিনি নন্দীগ্রামে।ভোটের তফসিল ঘোষণায় এখনও দেরি আছে। তার আগে মাঘ মাসের শীতে ভোটের উত্তাপ যেন কয়েকগুণ বেড়ে গেলো পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে।