নিজস্ব প্রতিিবেদক : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি বলেন, এজেন্ডা ২০৩০ (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে শিল্পায়নের কোনো বিকল্প নেই। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমেই দেশের এই টেকসই শিল্প ও শিল্পায়ন সম্প্রসারণ সম্ভব। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে হবে। গতকাল সোমবার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (স্কিটি) ফাউন্ডেশন কোর্সের সমাপনী ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিসিকের পরিচালক (প্রকৌশল ও প্রকল্প বাস্তবায়ন) মুহাম্মদ আতাউর রহমান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান এনডিসি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কিটির অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. শফিকুল আলম। শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষিত বেকার নারী ও পুরুষদেরকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত শিল্প সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে বিসিক স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রশিক্ষণ কোর্সের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, দেশের পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন, দরিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই তরুণ কর্মকর্তারা প্রশিক্ষিত হয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। তিনি আরও বলেন, বিসিকের কর্মকর্তাদের এ ফাউন্ডেশন কোর্স তাদের কর্মদক্ষতার উৎকর্ষ সাধনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ফাউন্ডেশন কোর্স সফলভাবে সম্পন্নকারী কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে বিসিকের চলমান কার্যক্রম পরিচালনা আরও বেগবান ও গতিশীল হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোশতাক হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত শিল্পোন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। বিসিকের শিল্পায়নই পারে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়তে। উল্লেখ্য, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ২১ দিনব্যাপী ফাউন্ডেশন কোর্সে ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।