আগরতলা (ত্রিপুরা): আগামী ১৬ জানুয়ারি ভারতে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেদিন সারা দেশের মোট ৫ হাজার জায়গায় দেওয়া হবে এবং ত্রিপুরা রাজ্যের মোট ১৭টি জায়গায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের ত্রিপুরা রাজ্যের মিশণ ডিরেক্টর ডা সিদ্ধার্থ শিব যশওয়াল। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে সেন্টারেগুলোতে ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরাও তৈরি আছেন। অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যেও করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে। ওই দিন রাজ্যের ৮টি জেলাতেই দেওয়া হবে। পশ্চিম জেলার মোট ৩টি সেন্টারে দেওয়া হবে প্রথম পর্যায়ে। এগুলো-ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পশ্চিম ভুবনবন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও গান্ধিগ্রাম হাসপাতাল।বৃহস্পতিবার আগরতলায় সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান পশ্চিম জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা দেবাশীষ দাস।তিনি আরো বলেন, প্রথম দিন প্রতিটি সেন্টারে মোট ১০০জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এরা সবাই স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মী।
অপরদিকে এদিন সিপাহীজলা জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। জেলা শাসক অফিসের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা রঞ্জন বিশ্বাস, ডাক্তার অরিজিৎ সিংহ রায়।জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে সিপাহীজলা জেলার বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল এবং মেলাঘর হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী, সমাজ কল্যাণ দপ্তরের অন্তর্গত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী তাদেরকে প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে সিপাহীজলা জেলায় ২শ ৮টি স্থানে ভ্যাকসিন দেওয়ার হবে। এজন্য সংবাদমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন।
সবমিলিয়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া জন্য সারা ভারতের সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যও পুরোপুরি প্রস্তুত আছে।