নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের দিল্লিতে আন্দোলনরত শীতার্ত কৃষকদের জন্য দুই হাজার কম্বল পাঠাতে চেয়ে দেশটির কোনও সাড়া পাননি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর কাছে কম্বল পাঠানোর আগ্রহ দেখিয়ে চিঠি দিলেও সেই চিঠির সাড়া পাননি তিনি। গতকাল রোববার দুপুরে আবারও কম্বল পাঠানোর আগ্রহ দেখিয়ে চিঠি দিয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুকে দিয়ে গুলশানের হাইকমিশনে চিঠি পাঠানো হয়। প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তারক্ষীরা সেই চিঠি গ্রহণ করেন। জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, ভারতের দিল্লির শীতার্ত কৃষকদের জন্য কম্বল পাঠাতে চেয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর বরাবরে আবারও চিঠি দিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনার অফিসে চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর দিল্লিতে শীতার্ত কৃষকদের জন্য কম্বল পাঠাতে চেয়ে চিঠি দেয় প্রতিষ্ঠানটি। সে চিঠির জবাব না আসায় গতকাল রোববার আবারও চিঠি দেওয়া হয়। জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, মান্যবর হাই কমিশনার, ২৪ ডিসেম্বরের চিঠির প্রেক্ষিতে আমরা এখনো কোনও সাড়া পাইনি। দিল্লীতে শীতার্ত কৃষকদের জন্য হাতে বোনা ২০০০ কম্বল গ্রহণের জন্য দয়া করে আমাদেরকে একটি তারিখ প্রদান করে বাধিত করবেন। আমরা অত্যন্ত ব্যথিত যে, শীতে ইতোমধ্যে ৪৪ জন কৃষক মারা গেছে বলে জানতে পেরেছি। প্রসঙ্গত, গত ২৪ ডিসেম্বর পাঠানো চিঠিতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের উদার সহযোগিতার জন্য আমরা ভারতের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ। জানতে পেরেছি নয়া দিল্লিতে বর্তমানে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে। ফলে ৩৭ জন কৃষক সম্প্রতি মারা গেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতার কৃতজ্ঞতা স্বরুপ নয়া দিল্লিতে শীতার্ত কৃষকদের জন্য বাংলাদেশের গ্রামীণ তাঁতীদের হাতে তৈরি ২০০০ কম্বল দিতে চাই।