বাগেরহাট: করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা, দালালদের দৌরাত্ম্য রোধ ও হয়রানির হাত থেকে মুক্তি দিতে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চেক পৌঁছে দিলেন বাগেরহাটের নবাগত জেলা প্রশাসক আনম ফয়জুল হক। কোন প্রকার তদবির, সুপারিশ ও উৎকোচ ছাড়াই বাড়িতে বসে নিজের পাওনা টাকার চেক পেয়ে খুশি ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা।বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের এই চেক পৌঁছে দেন জেলা প্রশাসক আনম ফয়জুল হক।এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রিজাউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শাহিনুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শরণখোলায় ২৩ জন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিককে ৫৪ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।এর আগে সকালে শহরতলীর পচাদিঘির পাশে দশানীস্থ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দুই জমির মালিকের বাড়িতে ৮ কোটি ১ লাখ ৭৪ হাজার ১২২ টাকার চেক পৌঁছে দেন জেলা প্রশাসক।বাড়িতে বসে ভূমি অধিগ্রহণের চেক পেয়ে খুশি জমির মালিক ও স্থানীয়রা। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক খাদেম মনিরুল আলম ও রওশন আরা বেগম বলেন, অধিগ্রহণ করা জমির টাকার জন্য আমাদের অনেক ঘুরতে হতো। ডিসি অফিসে গনশুশানিতে অংশ নিতে হতো। অনেক কাজ নিজেরা বুঝতে পারতাম না, বাধ্য হয়ে দালালদের শরণাপন্ন হতে হতো। আজ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাড়িতে এসে অধিগ্রহণের চেক দিলেন। বাড়িতে বসে এই চেক পেয়ে আমরা খুব খুশি হয়েছি। জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রম এই উদ্যোগ চালু থাকলে জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা হয়রানির হাত থেকে বাঁচবে বলে মন্তব্য করেন তারা।নবাগত জেলা প্রশাসক আনম ফয়জুল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের সময় ও অর্থ বাঁচাতে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষতিপূরণের চেক দিচ্ছি। উন্নয়ন প্রকল্পে অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া অব্যাহত থাকবে। জেলা প্রশাসনের কোনো ব্যক্তি এ কাজে অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।