তিনি জানান, গত ২০ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে বরিশাল জেলার গৌরনদী থানাধীন ভূরঘাটা নামে স্থানে বাসের ভিতর ড্রামে একজন অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। পিবিআই ক্রাইমসিন টিম তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে ক্রাইমসিন সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রাথমিক পর্যায়ে এটি একটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড। পুলিশের বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা মৃতের পরিচয় নির্ণয়, হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করে। পিবিআই বরিশাল জেলার একটি টিমকে ছায়া তদন্তে নিয়োজিত করা হয়। একই দিন পিবিআই বরিশাল জেলা ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তিনি গৌরনদী উপজেলার সদরের বাসিন্দা ও কাতারপ্রবাসী মো. সহিদুল ইসলামের স্ত্রী ছাবিনা বেগম।পিবিআই বরিশাল জেলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ দশ সদস্যের একটি টিম আসামি গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান পরিচালনাকালীন রাত ৩টার দিকে হত্যায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি মো. আ. খালেক হাওলাদারকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের বিমানবন্দর থানাধীন হিজলতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, হত্যার ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যেই পিবিআই হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে প্রযুক্তি ও ম্যানুয়াল পদ্ধতির সাহায্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তিনি জানান, আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় পাওনা ৫-৬ লাখ টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে খালেক হাওলাদার পরিকল্পিতভাবে ছাবিনাকে হত্যা করেন। হত্যা সংঘটিত হওয়ার আগে বরিশাল মহানগর এয়ারপোর্ট থানাধীন কাশিপুর ভুইয়া মসজিদ সংলগ্ন সঞ্জয় কবিরাজের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের নীচতলায় ডেকে আনেন এবং ভিকটিমকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করেন।