মুনাফ মালিক বলেন, আমি সত্যিই গর্ববোধ করছি যে আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমি মানুষের সঙ্গে কথা বলতে এবং তাদের সহায়তা করতে পছন্দ করি। অনেক কষ্টে জীবন কেটেছে আমার। পরে আমি জঙ্গিদের কাছে অস্ত্র ছেড়ে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আবেদন জানিয়েছিলাম। এখন আমি তাদের ফিরে আসতে অনুরোধ করতে চাই। তারা যা করছে (জিহাদ) এগুলো সবই রাজনৈতিক অপপ্রচার।
আত্মসমর্পণের পর তার পরিবর্তন সম্পর্কে মালেক বলেন, আমি তাদের (দারহাল মালকানের লোক) হয়ে কাজ করছি এবং আমি তাদের সেবা করে যাব। এখন আমি যেখানেই যাচ্ছি, অনেক শ্রদ্ধা পাচ্ছি। জনগণের উন্নয়নের জন্য কেউ কাজ করেনি। তারা কেবল নির্বাচনে জিতেছে এবং তারপর জম্মুতে গিয়ে বসে থেকেছে। তবে তিনি জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চান।
মুনাফ মালিকের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রশংসা করে জোনাল স্পোর্টস অফিসার (অবসরপ্রাপ্ত) ইমতিয়াজ আহমেদ মালিক বলেন, এটা খুব বড় বিষয় যে তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আত্মসমর্পণকারী লোকদের জন্য ভারত সরকারের একটি নীতি রয়েছে। এটি আমাদের সুন্দর গণতন্ত্রের প্রতীক। ডিডিসি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ইমতিয়াজ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। এটি আমাদের গণতন্ত্রের অংশ, যা যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম। জনগণের কল্যাণের জন্য নির্বাচন সেরা মাধ্যম। জনগণকে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে, সরকারের অংশ হতে হবে এবং তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে।
গত শনিবার শেষ হয়েছে জেলা উন্নয়ন কাউন্সিল নির্বাচনের অষ্টম ও শেষ পর্ব। এ নির্বাচনে ৩ লাখ ২২ হাজারেরও বেশি লোক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।
এ রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার কে কে শর্মা জানান, ১ লাখ ৫২ হাজার ৪২৩ জন মহিলা এবং ১ লাখ ২৯ হাজার ২৭১ জন পুরুষসহ মোট ৩ লাখ ২১ হাজার ৬৯৪ জন ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন।