দুদকের সচিব মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ এখান থেকে কি বেরিয়ে আসে, তার ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা৷
এর আগে গত ৪ আগস্ট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।
আরও বলা হয়, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছর মাসিক ৫০ হাজার টাকা করে ৩০ লাখ টাকা বাসা ভাড়া দিয়েছে পাপিয়া। গাড়ির ব্যবসায় এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কারওয়াশ সলিউশানে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। বিভিন্ন ব্যাংকে তার ও তার স্বামীর নামে ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকা জমা আছে। র্যাব তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। মফিজুর রহমান সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের একটি গাড়ি আছে, যার দাম ২২ লাখ টাকা। এভাবে মোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা খরচ করেন।
এসব টাকা অজর্নে স্বপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেনি তারা। এ পরিমাণ সম্পদ অর্জনের আয়ের উৎসের স্বপক্ষে কোনো দালিলিক রেকর্ডপত্রাদি/প্রমাণাদি উপস্থাপন না করায় ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার সম্পদ তাদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ বলে প্রতীয়মান হওয়ায় এবং এ সম্পদ তাদের ভোগ দখলে রেখে অভিযুক্ত শামীমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাই এ মামলাটি দায়ের করা হয়।