স্থায়ী ভিত্তিতে নদ-নদীর ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম। শুক্রবার সকাল ১১টায় বরিশাল সদর উপজেলার কীর্তনখোলা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর বিভিন্ন ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি এ আশ্বাস দেন।
এসময় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও ধীরে ধীরে বঙ্গোপসাগরে পানি নেমে যাচ্ছে। উজানের দেশ ভারত, নেপাল ও ভূটানে আগামী কয়েক দিনে ভারি বৃষ্টি না হলে বাংলাদেশের নদ-নদীর পানি কমবে। নদ-নদীর পানি নেমে গেলে স্বস্তি ফিরে আসবে।
দেশের ৬৪ জেলায় ৪৩২টি খাল খননের কার্যক্রম চলছে। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদসহ নানা কারণে খাল খনন কার্যক্রম বিলম্বিত হয়েছে। খাল খনন শেষ হলে সারা দেশে ৫শ’ নদী খননের কাজ শুরু হবে। এই কার্যক্রম শেষ হলে বন্যার সময় নদ-নদীতে পানির ধারণ ক্ষমতা আগের চেয়ে বাড়বে। তখন নদ-নদীতে পানি বাড়লেও প্লাবনের তীব্রতা বর্তমানের চেয়ে কমবে আশা প্রতিমন্ত্রীর।
এর আগে গতকাল সকালে মন্ত্রী স্পিড বোটযোগে কীর্তনখোলা নদীর ভাঙনকবলিত সদর উপজেলার চরবাড়িয়া, চরমোনাই ও লামছড়ি এবং আড়িয়ালখাঁ নদীর কালীগঞ্জ এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় নদী ভাঙনে দিশেহারা মানুষ দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে আর্তনাদ করেন। প্রতিমন্ত্রী পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেকনিক্যাল কমিটির জরিপ প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজন অনুযায়ী জিও ব্যাগ পেলে জরুরী ভিত্তিতে এবং প্রকল্পের মাধ্যমে স্থায়ী ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিণাঞ্চল জোনের প্রধান প্রকৌশলী মো. হারুন-অর রশিদ ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধুসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।