এসময় উপস্থিত ছিলেন নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাজেস কুমার সাহা এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য)।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আশরাফুল ইসলাম সদর উপজেলার আহম্মদপুর চরতেবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও আক্কাস আলী বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগ্রাম গ্রামের মৃত সাধু মিয়ার ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর বাজারের একটি ফার্মেসিতে বসে রোগী দেখে আসছিলেন। এমবিবিএস
ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও তিনি চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগীদের প্রেসক্রিপসন করাসহ চোখের অপারেশন করতেন। আর আক্কাস আলী নিজ ফার্মেসিতে এই ভুয়া চিকিৎসককে বসিয়ে সেবা দেওয়ার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা গ্রহণ করতেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে র্যাব-৫, সিপিসি -২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে একটি বিশেষ অপারেশন দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।
এসময় এমবিবিএস ডিগ্রিধারী কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ডা. মো. আশরাফুল ইসলাম। এই অপরাধে তাকে
দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অপরদিকে দোকানে ভুয়া চিকিৎসককে বসিয়ে সেবা দেওয়ার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা গ্রহণ করার অপরাধে মো. আক্কাস মিয়াকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাব-৫, সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মাসুদ রানা !এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।