ঈদুল আজহা ও চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে কোরবানির পশুর হাটে ও ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা ব্যাহত হতে পারে। অনেকেই পশুর হাটে মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করছেন। ঈদে অনেকেই বাড়িতে যাবেন। ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে করোনা সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে। তিনি বলেন, আমরা বাড়িতে প্রিয়জনের কাছে যাব, কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গেলে প্রিয়জনকে তো সংক্রমণ করে ফেলব।
জাহিদ মালেক বলেন, আমি খবর নিয়ে দেখেছি, বন্যার কারণে অনেক এলাকায় একসঙ্গে এক জায়গায় অনেক মানুষকে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। এতে করেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা ব্যাহত হতে পারে। করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা কিটের কোনো সংকট নেই। যার প্রয়োজন অনুযায়ী পরীক্ষা করতে পারবেন। তবে লক্ষণ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বাসা থেকে অনেকেই টেলিমেডিসিন সেবা নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন বলে পরীক্ষার হার কমে গেছে বলে মনে করেন জাহিদ মালেক। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি দপ্তর-সংস্থার লক্ষ্য অর্জন করতে তাগাদা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।