নিজস্ব প্রতিবেদক ; তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা ইসলামকে কয়েকজন ধর্ম ব্যবসায়ীর কাছে লিজ দেইনি। তারাই সব বোঝেন আর কেউ কিছু বোঝেন না।’ গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে আবার নতুনভাবে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই ভূখণ্ডে শত শত বছর ধরে ভাস্কর্য আছে। আমাদের দেশে মুঘল আমল থেকে ভাস্কর্য আছে। স্বাধীনতার পর দেশের বহু জায়গায় বহু জনের ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে। ইতোপূর্বে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক রাজনৈতিক নেতারাও ভাস্কর্য স্থাপিত হয়েছে। তখন কোনও কথা ছিল না। হঠাৎ করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে ভাস্কর্যের মিউজিয়াম আছে। সৌদি আরবের রাস্তায় প্রাণীর ভাস্কর্য আছে। এমনকি সৌদি বাদশার মুখাবয়ব ভাস্কর্য সেখানে আছে। কই মক্কা মদিনার ইমাম সাহেব কিংবা গ্র্যান্ড মুফতিরা তো এ নিয়ে কখনও প্রশ্ন তোলেন নাই। আমাদের এই ধর্মব্যবসায়ীরা মক্কা মদিনার ইমাম সাহেবদের চেয়েও জ্ঞানী? ধর্ম নিয়ে বেশি বোঝেন? আসলে এরা সব ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এই দেশ হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবার। সবার মিলিত রক্ত স্রোতের বিনিময়ে এই দেশ রচিত হয়েছে। সুতরাং এখানে ধর্মীয় বিষবাক্য ছড়ানো সংবিধান লঙ্ঘন, এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ারই শামিল।’ পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ২০০৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করার পর থেকে ষড়যন্ত্র শুরু। সেই ষড়যন্ত্রের শুরু থেকেই বিডিআর বিদ্রোহ ঘটনা হয়েছিল। নির্বিচারে সেখানে সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিল। এমনকি পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর ক্রমাগত ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পদ্মা সেতুতে এক টাকাও ছাড় হয়নি, ছাড় না হওয়া সত্ত্বেও বলা হয়েছিল দুর্নীতি হয়েছে। টাকাই যেখানে ছাড় হয়নি সেখানে দুর্নীতি হয় কীভাবে?’ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাট্যজন ফালগুনী হামিদের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবদুল মতিন ভুঁইয়া, সদস্য শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।