নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ মহিলা সদস্য রাখার বিষয়ে আওয়ামী লীগ আরও সময় চেয়েছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ ওই শর্ত পূরণে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় বাড়াতে লিখিত মতামত দিয়েছে। দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ প্রসঙ্গে মতামত বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। দল ও সরকারে নারীর ক্ষমতায়নে আওয়ামী লীগ যে পরিমাণ কাজ করেছে অন্য কেউ করেনি। দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ২২ শতাংশ মহিলা সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়াও দলের সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগ পৃথক সংগঠন রয়েছে। অন্য সব রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়েই ৩৩ শতাংশ মহিলা সদস্য সময় বাড়ানো দরকার বলে মনে করে আওয়ামী লীগ। এ জন্য আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় বাড়ানো যেতে পারে বলেও মতামত দেওয়া হয়।নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের তহবিলে নগদ ছিল ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯৬৮ টাকা। সে সময় ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৩৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭০ টাকা। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে সর্বমোট ২১ কোটি দুই লাখ ৪১ হাজার ৩৩০ টাকা। এ সময়ে যেসব খাত থেকে আয় হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : নমিনেশন ফরম বিক্রি বাবদ ১২ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, সম্মেলন বাবদ প্রাপ্ত ৩ কোটি ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮০০ টাকা, ব্যাংক লভ্যাংশ বাবদ ২ কোটি ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার ২২৩ টাকা, সংসদ সদস্যদের প্রদেয় চাঁদা বাবদ ১ কোটি ৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের মাসিক চাঁদা, জেলাভিত্তিক প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ চাঁদা ও প্রাথমিক সদস্য ফরম বিক্রি, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের হল ভাড়া, পত্রিকা প্রকাশনা ও বিজ্ঞাপন (উত্তরণ) এবং পুস্তক বিক্রিসহ অন্যান্য খাত থেকে বাকি আয় হয়েছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বমোট ব্যয় হয়েছে, ৮ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার ৫৭৫ টাকা। যেসব খাতে ব্যয় হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন বাবদ ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৪ হাজার ৮০০ টাকা, কর্মচারীদের বেতন, বোনাস, আপ্যায়ন ও অন্যান্য খরচ বাবদ ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা, বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাবদ ব্যয় ১ কোটি ১৮ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৫ টাকা, সভানেত্রীর কার্যালয় ভাড়া বাবদ ৫৫ লাখ টাকা।
এ ছাড়া নির্বাচন পরিচালনা অফিস, অফিস রক্ষণাবেক্ষণ, ত্রাণ কার্যক্রম, উত্তরণ পত্রিকা প্রকাশনা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি, বিভাগীয়, জেলা জনসভা ও দলীয় অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা, বিজ্ঞাপন ও পোস্টার প্রকাশনা বাবদ, সাংগঠনিক খরচ, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সার্ভিস চার্জসহ অন্যান্য খাতে বাকি অর্থ ব্যয় হয়েছে।