সরকারি ওয়েবসাইটগুলো সরকারি সংস্থা বিটিসিএলের ডটবিডি ডটগভ (.bd.gov) ডোমেইন দ্বারা পরিচালিত হয়। মগবাজারে বিটিসিএল অফিস থেকে সার্ভার পরিচালিত হয়। সরকারের এটুআই সরকারি ওয়েবসাইটগুলোর কারিগরি দিক তদারকি করে থাকে।
সন্ধ্যা ৭টার দিকেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছিল না। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, পাওয়ার রিজেনারেটের কাজ চলছে, দ্রুতই সমস্যা কেটে যাবে।
বিটিসিএলের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) মীর মোহাম্মদ মোরশেদ সন্ধ্যায় বলেন, মগবাজারে বিটিসিএলের সার্ভারে বিদ্যুৎ গোলযোগ দেখা যাওয়ায় ওয়েবসাইটগুলো সাময়িক সমস্যা ছিল। এখন ঠিক করা হয়েছে। সাইটগুলো এখন চালু হবে।
এটুআই’র প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা আরফে এলাহী বলেন, সকাল ১০টার দিকে মগবাজারে বিটিসিএলের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। যেখানে আমাদের সার্ভার রয়েছে। এর কারণে ৩০ হাজারেরও বেশি সরকারি ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে আছে, সাইটগুলোতে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, সরকারি মন্ত্রণালয় ও দফতরের মিলে মোট ওয়েবসাইট রয়েছে ৪২ হাজারের মতো। আমাদের বেশিরভাগ ওয়েবসাইট এখন বিটিসিলের সার্ভারে। বাকিগুলো রয়েছে ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারে।
এটুআই’র প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা বলেন, পাওয়ার না থাকলে আমরা সার্ভার রান করাতে পারি না। গতরাতেও সমস্যা দেখা দিয়েছিল, সেটা ঠিকও করা হয়েছে। কিন্তু সকালে দ্বিতীয় দফায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের পোর্টালে কিংবা সার্ভারে সমস্যা নেই।
আরফে এলাহী বলেন, সকালে বিটিসিএলের ইনভার্টার পুড়ে গেছে। ছোট ছোট ইনভার্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন কানেকশনের কাজ চলছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে সার্ভারের একটা অংশ চালু করতে পারব। গ্রাজুয়ালি একটির পর একটি ওয়েবসাইট ভিজিবল হতে শুরু করবে।
ইনভার্টারে সারারাত কাজ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিটিসিএলের সঙ্গে আমাদের (এটুআই) টিমও সেখানে থাকবে।
এটুআইয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের গুরুত্বপূর্ণ ৬২টি ওয়েবসাইটকে আমরা একটু সংবেদনশীল মনে করি। এই সাইটগুলোর কয়েকটিও বন্ধ রয়েছে।