অনুমোদন পাওয়ায় জরুরি ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করার অনুমতি পেলো ফাইজার। ফলে উচ্চঝুঁকিতে রয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের ভ্যাকসিনটি দেওয়া যাবে এবং ভ্যাকসিন দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ভ্যাকসিনটির চার কোটি ডোজ অর্ডার করেছে। প্রত্যেককে দু’টি ডোজ দেওয়া হবে। এতে সহজেই দুই কোটি মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা যাবে। খুব শিগগিরই প্রায় এক কোটি ভ্যাকসিন পাবে যুক্তরাজ্য। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মাত্র ১০ মাসে ভ্যাকসিনটি তৈরি হয়েছে। একই ধাপ অনুসরণ করে আগে নতুন ভ্যাকসিন উদ্ভাবিত হতে অন্তত এক দশক সময় লাগতো। নতুন এই ভ্যাকসিনটি একটি এমআরএনএ ভ্যাকসিন। এতে করোনা ভাইরাসের জেনেটিক কোডের ক্ষুদ্র একটি অংশ রয়েছে, যা শরীরে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি তৈরি করবে। এর আগে কখনো মানুষের শরীরে প্রয়োগের জন্য এমআরএনএ ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়া হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি ফাইজার এবং জার্মান বায়োটেকনোলজি কোম্পানি বায়োনটেক যৌথভাবে এ ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানান, ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলেও সবাইকে এখনো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরার পাশাপাশি, আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ থাকলে পরীক্ষা করাতে এবং আইসোলেশনে থাকতে হবে।