ঢাকা: মুজিব শতবর্ষে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার পরিবার দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘর দেবে সরকার। এ লক্ষ্যে দেশের ২৫ জেলার জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে জেলা ভিত্তিক ক্রসড চেকের মাধ্যমে ১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়। অর্থমন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ পত্রে বলা হয়েছে, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পান’ এ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহায়ন অনুদানের অর্থে মুজিব শতবর্ষে ১ হাজার গৃহ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ২৫ জেলায় এই ঘর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে ব্যয় নির্বাহের জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে জেলা ভিত্তিক ক্রসড চেকের মাধ্যমে ১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা জেলা প্রশাসকরা ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাসমূহের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও মাত্রা বিবেচনায় উপজেলাভিত্তিক গৃহ সংখ্যা নির্ধারণ করে ক্রসড চেকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুকূলে অর্থ দেবেন। গৃহ নির্মাণ কাজ শেষের পর উপকারভোগীদের এই নামের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রদত্ত সংযুক্ত ছক মোতাবেক সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পাঠানো হবে। এরপর ইউএনও ‘জমি আছে ঘর নেই, তারা নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ নীতিমালার আলোকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেবেন। বরাদ্দ পত্রে আরো বলা হয়েছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান নীতিমালা-২০২০ এ অন্তর্ভূক্ত নকশা অনুযায়ী নির্মাণ করতে হবে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে অর্থপ্রাপ্তির পর তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে সমাপ্তি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। আর এ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহায়ন তহবিল হতে অনুদান দেওয়া হয়েছে বিধায় সরকারি আর্থিক বিধান যাতে সমন্বয় বিল ইউএনওর সইসহ গৃহ নির্মাণ সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) সরাসরি ক্রয় পদ্ধিতিতে নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করবে। পিআইসির সদস্যরা গৃহ নির্মাণকালীণ প্রতিটি গৃহ সার্বক্ষণিকভাবে নিবিড় তদারকি ও পর্যবেক্ষণ করবেন এবং গৃহ নির্মাণের গুণগত মান নিশ্চিত করবেন। যেসব জেলায় ঘর নির্মাণ হবে: সারাদেশে ২৫ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। এসব জেলা হচ্ছে- বাগেরহাটে ২৫টি, বরিশালে ২৫টি, ভোলায় ১০টি, গোপালগঞ্জে ৫০টি, মাদারীপুরে ৫টি, ঝালকাঠিতে ৫টি, খুলনায় ২৪৯টি, লক্ষ্মীপুরে ৬টি, নোয়াখালীতে ৫টি, পটুয়াখালীতে ১০টি, সাতক্ষীরায় ২১১টি, শরীয়তপুরে ৬টি, ঝিনাইদহে ১৬৩টি, চুয়াডাঙ্গায় ১৫টি, কুষ্টিয়ায় ১৫টি, মেহেরপুরে ১০টি, বগুড়ায় ১০টি, রংপুরে ৮টি, লালমনিরহাটে ৭টি, কুড়িগ্রামে ১টি, যশোরে ১৩৯টি, মানিকগঞ্জে ৫টি, ফরিদপুরে ৫টি, মাগুরায় ১০টি, রাজবাড়ীতে ৫টি।