রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ সাক্ষাৎ হয় এই প্রবীণ মানুষটির সাথে। তিনি বাড়ীর উঠানে বসে খালি চোঁখে খবরের কাগজ পড়ছেন। বিনয়ের সাথে নামটি জানতে চাইলে বলেন, মোঃ জোবেদ আলী, গ্রামঃ মেকুরটারী উপজেলাঃ রাজারহাট,জেলাঃ কুড়িগ্রাম। আমি এ বয়সে খালি চোঁখে কুরআন শরীফ পড়া, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া, বাজারে একা হেঁটে আসা যাওয়া করি। তিনি আরও বলেন ,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষা আন্দোলন, ৭ র্মাচের ভাষণ , মুক্তিযুদ্ধের সব ঘটনা এখন আমার কাছে স্পষ্ঠ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া এদেশর সাধারন মানুষ কখনও স্বাধীনতা স্বাদ পেত না। আমার সন্তানসহ নাতি নাতনির সংখা ৫৫ জন। কথাগুলো খুব সহজ ভাবেই বলছিলেন। কথার এক পর্যায়ে তার বয়স জানতে চাইলে বলেন, আমার জন্ম ১৯০০ সালের ২৫ অক্টোবর। আমি ১৯১২ সালে প্রাইমারী পাশ করি। তার অর্থ উনার বয়স এখন ১২১ বছর বা একটু বেশী।
বয়স্ক মানুষ দেখলে কথা বললে ভালো লাগে। জীবনধর্মে এই বয়স্ক মানুষগুলো শিশুর মতো। জীবনলব্ধ বোধগুলো পরিপক্ক।
কিন্তু এমন একসময় ছিলো এই প্রবীণ মানুষগুলি ছিলো সংসারের সকল সদস্য বা সন্তানদের সকল আবদার পুরণকারী বাবা কিংবা অভিভাবক ছিলেন। জীবন স্রোতে টগবগে ভালোবাসা,সংসার জীবন চালনো এই মানুষগুলোই একসময় হয়ে যায় বড় একা। গল্প করার জন্য খুজে বেড়ায় কাছের মানুষকে। কিন্তু তার যে বয়স হয়েছে, অনেকে প্রবীণ ব্যক্তি তাকে ছেড়ে পরোপারে চলে গেছে। পারিবারিক মুল্যবোধ তৈরী, সামাজিক নীতি নৈতিকতা, মানবিক আচরণই পারে নবীন ও প্রবীণ এর এই ফাকা সম্পর্ককে পূরণ করতে।
পরিবারের বাইরে প্রবীণ হিত্যৈষী ক্লাব তৈরী করে সমচিন্তা ও সমবয়স এর এই মানুষগুলোকে রাখা যেতে পারে স্বতিতে ও শান্তিতে। বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে পাওয়া যেতে পারে জীবনলব্ধ দামী পরামর্শ, অফুরন্ত মমতা। বয়স থেমে থাকেনা, আমি আমরা প্রবীণ হবো, তাই আমাদের ভাবতে হবে এখনি।