নিজস্ব প্রতিবেদক : ফরিদপুরের সদরপুরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ১২ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করেছেন ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বাল্য বিয়ের অপরাধে ওই বৃদ্ধ, মেয়েটির মা, নানা ও নানিকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের সতের রশি গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূরবী গোলদার। পরে তিনি বাল্য বিয়ের দায়ে বৃদ্ধ মোহাম্মদ ফকিরকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়াও আদালত কিশোরীর মা ফাতেমা বেগমকে ছয় মাস, নানা খবির তালুকদার এবং নানি হালিমুন্নেসাকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। দন্ডপ্রাপ্ত বৃদ্ধ মোহাম্মদ ফকির সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের বাসিন্দা। ওই মেয়েটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর গোপনে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ওই বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে হয় স্কুলছাত্রীর। এ বিয়ের ব্যাপারে মেয়েটির বাবা বাধা দিলেও তার মা গোপনে বিয়ে সম্পন্ন করান। গত শুক্রবার রাতে নতুন জামাই হিসেবে মোহাম্মদ ফকির শ্বশুরবাড়িতে গেলে মেয়ের অন্যান্য স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খবর দেন। খবর পেয়ে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী গোলদার তাৎক্ষণিক ওই মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মোহাম্মদ ফকির, মেয়ের মা ফাতেমা বেগম, বিয়ের সঙ্গে জড়িত থাকায় মেয়ের নানা ও নানিকে আটক করেন। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা করা হয়। সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী গোলদার বলেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর বিভিন্ন ধারায় এ শাস্তি দেয়া হয়। কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।