বরিশাল: প্রজনন মৌসুম শেষে বরিশালের পাইকারি বাজারে ইলিশ আসতে শুরু করেছে। তবে আকারে বড় ও ভালো মানের ইলিশ বাজারে এলেও এখনও তুলনামূলকভাবে দাম কমেনি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। এদিকে নিষেধাজ্ঞা শেষে সরবরাহ বাড়ায় খুশি বিক্রেতারা, তবে কেউ কেউ বলছেন নিষেধাজ্ঞা শেষে এবার গত বছরের তুলনায় ইলিশের আমদানি কিছুটা কম পাইকারি বাজারে। এটাকে অভিযানের সুফল হিসেবে দেখছেন মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে সমুদ্রগামী বোটগুলো নিয়মিত আসতে শুরু করলে বাজারে ইলিশের আমদানি যেমন বাড়বে, তেমনি কমবে দাম বলে জানিয়েছেন পাইকাররা। বরিশাল নগরের পোর্টরোডস্থ একমাত্র বেসরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে জানা গেছে, ভোর থেকে ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌ-যানে ইলিশ নিয়ে হাজির হচ্ছে বরিশালের কীর্তনখোলা নদী তীরের এ পাইকারি বাজারে। বিভিন্ন জায়গা থেকে এ বাজারে বিক্রির জন্য আনা হচ্ছে শত শত মণ ইলিশ। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে বর্তমানে মুখরিত বরিশালের এ পাইকারি বাজার। কিন্তু গত ৫ নভেম্বরের আগের ২২ দিন শত শত শ্রমিকের কর্মসংস্থানের এ জায়গাটি ছিল সুনশান। এ বাজারে নিষেধাজ্ঞার পর গত দু’দিনে এক হাজার মণ ইলিশ কেনা-বেচা হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) বেচাকেনা হয়েছে এক হাজার তিনশ’ মণ এবং সকাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাতশ’ মণ ইলিশের আমদানি ঘটেছে। শুক্রবার (৬ নভেম্বর) নগরের পাইকারি বাজারে ছয়শ’ থেকে নয়শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশের প্রতিকেজির পাইকারি দাম ৬৭৫ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ ৭২৫ টাকা, এক কেজির ওপরের ওজনের ইলিশের দাম আটশ’ টাকা এবং দেড় কেজি ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি নয়শ’ টাকা দরে বেচা-কেনা হচ্ছে।
তবে সাগরের ইলিশ বাজারে আসা শুরু করলে দাম কমতে পারে বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিত কুমার দাস মনু।আর সম্প্রতি শেষ হওয়া অভিযান সফল হয়েছে বলে দাবি করেন জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা (হিলসা) ড. বিমল চন্দ্র দাস। তিনি জানান, শিগগিরই এর সুফল জেলে ও দেশের মানুষ পাবে। আর অভিযানের কঠোরতার কারণেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরের দিন বিপুল পরিমাণে ইলিশ বাজারে আসতে পারেনি। তবে জেলেদের অভিযোগ, মৌসুমী জেলেরা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও নদীতে ইলিশ শিকার ঠিকই করেছে। তাদের ইলিশ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও বিক্রি হয়েছে। প্রজনন শেষে বেশিরভাগ মা ইলিশ সাগরে ফিরে গেছে, তাই নদীতে এখন ইলিশ আবারো কমে গেছে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।