কুষ্টিয়ায় আ্যম্বুলেস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া–ঝিনাইদহ মহাসড়কে এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে নিহতদের সবার পরিচয় এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে ইবি থানাধীণ লক্ষীপুর নামক স্থানের নতুন ব্রিজের কাছে অ্যাম্বুলেন্স ও মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে অ্যাম্বুলেন্সেটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং অ্যাম্বুলেন্সের দুইজন রোগীসহ পাঁচজন যাত্রী ভেতরে আটকা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের কর্মীরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে অ্যাম্বুলেন্সের দরজা-জানালা কেটে ড্রাইভার টিপু ও অপর চারজন যাত্রীর লাশ উদ্ধার করে। নিহতরা সবাই নড়াইলের লোহাগড়া থানার পক্ষীপাশা এলাকার বাসিন্দা। তবে শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার ছাড়া অন্যদের নাম-পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। নিহত ড্রাইভারের নাম টিপু (৩৫)। নাম আজানা আহত একজনকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া ফায়ার স্টেশন অফিসার আলী সাজ্জাদ জানান, নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার লক্ষীপাশা গ্রামের এক রোগী পাবনা মেন্টাল হসপিটালে চিকিৎসা শেষে আত্মীয়-স্বজনসহ নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় পথিমধ্যে নড়াইলগামী অ্যাম্বুলেন্স ও কুষ্টিয়াগামী বিএডিসি’র বীজ বহনকারী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার টিপু, এক নারী যাত্রী, একজন মানসিক রোগী ও একজন প্রতিবন্ধীসহ পাঁচজন নিহত হন।
দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের তড়িৎ হস্তক্ষেপে পরবর্তীতে যান চলাচাল স্বাভাবিক হয়। নিহতদের লাশ কুষ্টিয়া ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার স্টেশনের কর্মকর্তা আলী সাজ্জাদ ঘটনার নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতদের সবার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।