করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রেমডিসিভির কার্যত কোনো কাজ করছে না বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
করোনার চিকিৎসায় কোন ওষুধ কেমন কাজ করছে জানতে ডব্লিউএইচও চারটি ওষুধের ওপর ‘সলিডারিটি’ ট্রায়াল করেছে।
রেমডিসিভির ছাড়াও ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, ইন্টারফেরন এবং এইচআইভির চিকিৎসায় ব্যবহৃত লোপিনাভির/রিটোনাভিরের ওপর সলিডারিটি ট্রায়াল করা হয়। ওষুধ চারটি ৩০টি দেশের ১১ হাজার ২৬৬ জন রোগীর ওপর প্রয়োগ করা হয়। রোগীদের ২৮ দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।
করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় মে মাসে প্রথম রেমডিসিভির ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত হলে তাকেও রেমডিসিভির দেওয়া হয়েছিল বলে তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রাথমিক বিশ্লেষণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় রেমডিসিভিরের কার্যকারিতা শূন্য বা একেবারেই সামান্য। কোভিড রোগীদের হাসপাতালে থাকার মেয়াদ কমাতে ব্যর্থ এই ওষুধ। রেমডিসিভি প্রয়োগে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
একইভাবে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যু ঠেকাতেও কোনো কাজ করছে না রেমডিসিভির। এই ফলাফল ‘প্রি-প্রিন্ট’ সার্ভারে আপলোড করা হয়েছে এবং ফলাফল পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ডব্লিউএইচও’র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথ বলেন, কার্যকারিতা প্রমাণিত না হওয়ায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাঝ পথে গত জুনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং লোপানিভির/রিটোনাভিরের প্রয়োগ। তবে অন্য দুটি ওষুধের পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে ৩০টি দেশের পাঁচ শতাধিক হাসপাতালে।
সৌম্য স্বামীনাথ বলেন, আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছি। গত কয়েক মাসে নতুন তৈরি হওয়া কিছু ওষুধের ওপর আমরা নজর রাখছি।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুসন্ধান প্রত্যাখ্যান করেছে রেমডিসিভিরের প্রস্তুতকারক গিলিয়াড সায়েন্স। এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, গবেষণার ফলাফলগুলি অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ফলাফলগুলি এখনো পর্যালোচনা করা হয়নি।
সূত্র: বিবিসি