থাইল্যান্ডের ক্ষমতাসীন সরকার ও রাজতন্ত্রের অবসানের দাবিতে চলা বিক্ষোভ ঠেকাতে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে এই জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়।
থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, শান্তি এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়েছে।
জানা গেছে, থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থাকালীন সময়ে বড়ো সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া দেশের শান্তি শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাবে এমন কোনো তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার না করার জন্য থাই সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয় যে পুলিশ থাইল্যান্ডের আন্দোলনের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে,। তবে এ নিয়ে থাই পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি।
থাইল্যান্ডের দেশটির বর্তমান রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন এবং দেশটির বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে চলা এই আন্দোনে অংশ নিয়েছেন দেশটির অসংখ্য মানুষ। আন্দোলনকারীরা রাজার ক্ষমতা হ্রাস এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা যায়, বর্তমান রাজা ভাজিরালংকর্ন ২০১৬ সাল থেকেই দেশটির ক্ষমতায় আছেন। রাজা ভাজিরালংকর্নের অধিকাংশ সময়ই কাটে জার্মানিতে। কেন তিনি সেখানে দীর্ঘ সময় কাটান তার কোনো ব্যাখ্যা কারও জানা নেই। যদিও পাপারাজ্জিরা ইতোমধ্যে জার্মানিতে থাই রাজার বিলাসবহুল জীবন যাপনের কিছু ছবি প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন।