ডিম প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ডিমের গুরুত্ব দিন দিনই বাড়ছে। ফলে ভোক্তাদের মধ্যে ডিম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছরের মতো আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডিম দিবস। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার প্রথম বিশ্ব ডিম দিবসের আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য, ‘প্রতিদিনই ডিম খাই, রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াই।’
এবারের ডিম দিবস উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর (ডিএলএস), বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ একত্রে সারা দেশে অনলাইনের আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ এগ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মীর আবদুল্লাহ বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে প্রাণিসম্পদ খাত। উপ-খাত হিসেবে পোলট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কারণ, ডিম এবং মাংস সরবরাহের মাধ্যমে দেশের প্রোটিন ঘাটতি পূরণ হচ্ছে। জিডিপিতে এ উপ-খাতের অবদান ২.৬৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এ খাতের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৩.৯৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশের পোলট্রি শিল্প থেকে প্রতিদিন ৫ কোটি ডিমের জোগান আসছে।
ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে বর্তমানে বিশ্বের ৪০টি দেশে পালিত হয় ‘বিশ্ব ডিম দিবস’। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বছরে একজন মানুষের ন্যূনতম ১০৪টি ডিম খাওয়া উচিত। সাধারণ মানুষকে ডিম খাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয় এ দিবসটিতে। অথচ যখন এ দিবস পালিত হচ্ছে, তখন ভোক্তাদের প্রতি হালি ফার্মের ডিম কিনতে হচ্ছে ৩৬-৩৮ টাকায়। ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাড়তি চাহিদা পূরণ করতে না পারায় বাড়তি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পোলট্রি সায়েন্সের অধ্যাপক ড. ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রতিদিন একজন মানুষকে অন্তত একটি করে ডিম খাওয়া উচিত।