ঢাকা: ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির পাশাপাশি তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একইসঙ্গে এসব অপরাধীদের ছোটখাটো লঘু দণ্ড দিয়ে লাভ নেই, সর্বোচ্চ শাস্তির যে দাবি উঠেছে এটা অযৈাক্তিক নয় বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বুধবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় সড়ক ভবনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ধর্ষণকারীরা যেন কোন রাজনৈতিক আশ্রয়ের ঠিকানা না হয়, সে অনুরোধ করব। ধর্ষকদের বিচারে সর্বোচ্চ শাস্তির পক্ষে আমিও। যেসব অপরাধী বা ধর্ষক এসব ঘৃণ্য কাজ করছে, তাদের জন্য শাস্তি শেষ কথা নয়, তারা কোনো রাজনৈতিক দলের ছায়ায় থাকলে, তাদের চিরতরে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। ধর্ষকদের যেন কোনো রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় না দেয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, উন্নয়নের গতি ধরে রাখার পাশাপাশি সামাজিক অপরাধ, দুর্নীতি, অনিয়ম বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারে অবস্থান স্পষ্ট। দুর্নীতি-অনিয়ম করে যেমন কেউ ছাড় পায়নি, তেমনি নারীর প্রতি, শিশুদের প্রতি অন্যায়ের ব্যাপারেও সরকার কঠোর অবস্থানে। যেখানে যে ঘটনাই ঘটুক কোনোটাকেই সরকার ছাড় দেয়নি। অপরাধকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি এবং অপকর্মের মূল উৎপাটনে শেখ হাসিনার কোনো পিছুটান নেই। নারীর প্রতি সহিংসতা, নারীর অবমাননা, মাদক, সাইবার অপরাধ, গুজব ছড়ানো এসব অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে, গড়ে তুলতে হবে সামাজিক প্রতিরোধ। এসব নষ্ট রুচির অপরাধীদের কঠোর শাস্তির পাশাপাশি তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনকে আপসহীন মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
‘দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে ধর্ষণ বাড়ছে’ বিএনপি মহাসচিবের এ অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিচার শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে। এর আগে কোনো অপরাধের বিচার হয়নি। তার আগে ফাহিমা, মুন্নি ও পূর্মিাদের কথাই ভাবুন। একটি ঘটানারও কি বিচার হয়েছে? একটি অপরাধেরও কি দণ্ড দেওয়া হয়েছে? বিএনপির দলীয় লোকদের একটিরও কি বিচার হয়েছে? তাদের মুখে এটা শোভা পায় না। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন দেশে না-কি গণতন্ত্র নেই। আমরা বলতে চাই প্রতিদিন গণমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ফ্রি স্টাইলে তারা বিষোদগার করছে। গণতন্ত্র না থাকলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা এভাবে অবিরাম মিথ্যাচার করতে কি পারতেন। গণতন্ত্র আছে বলেই, তারা সরকারের সমালোচনা করতে পারছেন। এমনকি গঠনমূলক না হয়ে বিরূপ আচরণ করছেন।