ঢাকা: নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের মহোৎসবের প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বুধবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির ধর্ষণবিরোধী এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এসময় তিনি বলেন, এই সমাবেশের পর আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সারাদেশে জেলা পর্যায়ে নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ধর্ষণ ও নারী-শিশু নির্যাতনের মতো বিষয়গুলো এই অবৈধ সরকারের ছত্রছায়ায় নিরন্তন বিষয় হয়ে গেছে। এছাড়া গত কয়েক মাসের হিসাব করলে দেখা যায়, এগুলো একটি মহোৎসবে পরিণত হয়েছে। শুধু ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন বেড়ে যাওয়া নয়, একইসঙ্গে দেশের আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও দেশ অর্থনৈতিকভাবেও ধ্বংস হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সরকার বলেছে, সরকার যখন ক্ষমতায় তখন এই দায় অস্বীকার করার উপায় নেই। অতএব আপনারা দায় স্বীকার করেছেন আপনারা ব্যর্থ। আপনারা থাকতে এ দেশ নিরাপদ নয়। আপনারা পদত্যাগ করুন।
তিনি বলেন, আমাদের এখন আর চুপ করে বসে থাকার উপায় নেই। আমাদের সবার কাজ হবে একত্রিত হয়ে এই মহাদানবকে প্রতিহত করা। একইসাথে আগামীতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। আপনারা বলেন, আন্দোলন দেন না, আন্দোলন দেন না। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন কর্মসূচি চলবে।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে, করোনার ভয় উপেক্ষা করে সবাই এখন পথে নেমেছে। আর যখন একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, তখন শুধু একটি নারী ধর্ষিত হয় না, গোটা বাংলাদেশ ধর্ষিত হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের পরিচালায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ, উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুনসি বজলুল বাসিত আনজু, বিএনপি নেতা শামীমুর রহমান শামীম, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।